দশ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। কিন্তু শিরোপার শেষ লড়াইয়ে কি যেন হয়ে গেল, শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে বসলো তাঁরা। সেই ম্যাচের পর থেকেই দলের দুই অভিজ্ঞ সদস্য বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে; রঙিন পোশাকে তাঁদের আর কতদিন দেখা যাবে সেই প্রশ্ন উঠে এসেছে।
বিশেষ করে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই দুজনকে বিবেচনা করা হবে কি না তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য কেভিন পিটারসেন মনে করেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার সব সম্ভাবনাই রয়েছে কোহলি, রোহিতের। তবে সেজন্য আগামী আইপিএলে পারফর্ম করতে হবে উভয়কে।
ইংল্যান্ডের সাবেক এই পেসার বলেন, ‘তাঁদের (কোহলি ও রোহিত) বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ আছে। তবে দেখতে হবে তাঁরা আইপিএলে কেমন করে। দুজনেই ভারতীয় ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য অবদান রেখেছেন, আপনি তাঁদের সম্মান দিতে বাধ্য। এবং আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে তারা আরো একবার বিশ্ব মঞ্চে খেলতে চায় কি না।’
২০২৪ সালের আইপিএল উপলক্ষে ইতোমধ্যে কোহলিকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং রোহিতকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স রিটেইন করেছে। দীর্ঘ সময় ধরে এই দুইটি দলের হয়ে খেলছেন কোহলি-রোহিত; দারুণ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা নিশ্চয়ই এবারও ধরে রাখতে চাইবেন।
আবার আইপিএলের পরপরই শুরু হবে আগামী বছরের যুক্তরাষ্ট্র-উইন্ডিজ বিশ্বকাপ। সেজন্যই পিটারসন বলেন, ‘আইপিএল ফর্মট অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, কারণ আইপিএল এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ এর মধ্যে সময়ের খুব বেশি ব্যবধান থাকবে না। রোহিত, বিরাটের জন্য এটি নিজেদের পরখ করে নেয়ার মঞ্চ।’
এই দুই ডানহাতিও হয়তো সেই অপেক্ষাতেই আছেন; যদি আইপিএলে পারফরম করতে পারেন, সেরা ছন্দে থাকেন তাহলে বিশ্বকাপ খেলতে নিশ্চয়ই আপত্তি করবেন না তাঁরা। কিন্তু উল্টোটা ঘটলে ফেস-ভ্যলু ব্যবহার করে দলে থাকা চেষ্টা করবেন না, সেটা বলাই যায়।
ইংল্যান্ডের মারকুটে ব্যাটারের কণ্ঠে তাই শোনা গিয়েছে ধৈর্যের আহ্বান। তিনি বলেন, ‘আসুন অপেক্ষা করি, দেখি কি হয়। এই ক্রিকেটাররা ভারতের হয়ে খেলার জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁরা অবশ্যই সম্মানের যোগ্য।’