সাদিকুল্লাহ অটল ভিতরে আসা বল খেলতে পারছিলেন না। ইনিংসের শুরু থেকেই তাঁর এই দুর্বলতা বোঝা যাচ্ছিল। তবে, তাঁকে আউট করার জন্য অপেক্ষা করতে হল দশম ওভার পর্যন্ত। ভেতরে আসা বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়লেন।
অপেক্ষা করতে হল হল, কারণ তখন কেবল বোলিংয়ে এসেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ঠিক তখন না, এসেছেন এর আগের ওভারে। আর প্রথম দুই ওভারেই পেয়ে গেছেন তিনটা উইকেট। আর ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনটা উইকেটই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সাদিকুল্লাহ অটলের আগে তিনি আউট করেন রহমত শাহকে। এরপর একই ওভারে অটলের সাথে সাজঘরে ফিরে যান আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৩৫ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান আফগানিস্তানের প্রথম চারজন।
এমনিতে শারজাহ’র উইকেট আর ব্যাটিং সহায়ক নয়। আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটা যে উইকেটে হচ্ছে, সেটা তুলনামূলক স্লো। আর এমন উইকেটে মুস্তাফিজুর রহমান কি করতে পারেন – সেটা তো গোটা বিশ্বই জানে।
তাই তো, প্রথম দুই ওভার শেষে মাত্র পাঁচ রান দিয়ে মুস্তাফিজের নামের পাশে যোগ হয়ে গেছে তিনটি উইকেট। টসে জিতে ব্যাট করতে নামা আফগানদের জন্য ম্যাচ জয়ের সবচেয়ে বড় শর্ত ছিল, মুস্তাফিজকে দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করতে হবে। কিন্তু, আফগানদের পার্টির আমেজটাই তো নষ্ট করে দিচ্ছেন দ্য ফিজ।