সেই স্পিন বিষেই নীল আফগানিস্তান

ওয়ানডে সিরিজে জয়ের পর বেশ ফুরফুরে মেজাজেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি শক্তিমত্তায় আফগানরা এগিয়ে থাকলেও দেশের মাটিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স যেনো ইঙ্গিত দিচ্ছিলো দুর্দান্ত এক লড়াইয়ের। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নাসুম আহমেদের জাদুকরী স্পেলে আফগানিস্তানকে ৬১ রানে হারিয়ে দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।

ওয়ানডে সিরিজে জয়ের পর বেশ ফুরফুরে মেজাজেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি শক্তিমত্তায় আফগানরা এগিয়ে থাকলেও দেশের মাটিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স যেনো ইঙ্গিত দিচ্ছিলো দুর্দান্ত এক লড়াইয়ের। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নাসুম আহমেদের জাদুকরী স্পেলে আফগানিস্তানকে ৬১ রানে হারিয়ে দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই মোহাম্মদ নাইম শেখকে হারায় স্বাগতিকরা। অভিষিক্ত মুনিম শাহরিয়ার ভালো সম্ভাবনা দেখালেও রশিদ খানের ঘূর্ণিতে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ব্যক্তিগত ১৭ রানেই ফিরেন তিনি। ২৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ। একপ্রান্তে লিটন দাসের ব্যাটে তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ২২ রান।

এরপর দলীয় ৪৭ রানে কায়েস আহমেদের বলে সুইপ করতে গিয়ে মুজিব উর রহমানের হাতে ধরা পড়েন সাকিব! মাত্র ৫ রানেই ফিরেন এই অলরাউন্ডার। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে দ্রুত কিছু রান তুলেন লিটন। তবে লিটনকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। দলীয় ৮০ রানে ব্যক্তিগত মাত্র ১০ রানে ফিরেন রিয়াদ! এরপর আফিফ হোসেনের সাথে ৪৬ রানের জুটির পথে মাত্র ৩৪ বলে দুর্দান্ত এক ফিফটি তুলে নেন লিটন।

দলীয় ১২৬ রানে ব্যক্তিগত ৪৪ বলে ২ ছক্কা ও ৪ চারে ৬০ রানে লিটন ফিরলে দ্রুত আউট হন আফিফও। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। লিটনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আফিফ করেন ২৫ রান। আফগানিস্তানের পক্ষে ফজল হক ফারুকী ও আজমতউল্লাহ শিকার করেন ২টি করে উইকেট।

১৫৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে নাসুম আহমেদের ম্যাজিকেল বোলিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে আফগানিস্তানের ব্যাটিং শিবির। প্রথম ওভারেই রহমানুল্লাহ গুরবাজের পর নিজের দ্বিতীয় ওভারে শিকার করেন হজরতউল্লাহ জাজাইকে।

একই ওভারে দাওরিশ রাসুলিকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় শিকার বানান নাসুম। এরপর ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভার করতে এসে করিম জানাতকে ফেরালে মাত্র ২০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আফগানরা। নাসুম শিকার করেন মাত্র ১০ রানে ৪ উইকেট।

পঞ্চম উইকেট মোহাম্মদ নবি ও নাজিবুল্লাহ জাদরানের ৩৭ রানের জুটি আফগানদের আশা দেখালেও সাকিবের পর পর দুই ওভারে নবি ও জাদরান ফিরলে ম্যাচে জয়ের আশা একেবারেই শেষ হয়ে যায় আফগানিস্তানের। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সাকিব শিকার করেন নিজের ৪০০ তম উইকেট। শেষ পর্যন্ত নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৪ বল বাকি থাকতে মাত্র ৯৪ রানেই গুড়িয়ে যায় আফগানিস্তান।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ – ১৫৫/৮ (২০ ওভার); লিটন ৬০ (৪৪), আফিফ ২৫(২৪), মুনিম ১৭(১৮); ফারুকী ৪-০-২৭-২, আজমতউল্লাহ ৪-০-৩১-২।

আফগানিস্তান – ৯৪/১০ (১৭.৪ ওভার); নাজিবুল্লাহ ২৭(১৬), আজমতউল্লাহ ২০(১৮), নবি ১৬(১৯); নাসুম ৪-০-১০-৪, সাকিব ৪-০-১৮-২, শরিফুল ৩.৪-০-২১-৩, ফিজ ৩-০-১৯-১।

ফলাফল: বাংলাদেশ ৬১ রানে জয়ী।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...