শীর্ষে ওঠার হাতছানি

সিরিজের বাকি দুই ম্যাচের যে কোন একটিতে জয় পেলেই ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করবে বাংলাদেশ। সাত ম্যাচে চার জয়ে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে এখন পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াটওয়াশ করে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সুপার লিগে উড়ন্ত সূচনা করেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে গতকাল সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পাওয়াতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠার হাতছানি দিচ্ছে বাংলাদেশকে।

সিরিজের বাকি দুই ম্যাচের যে কোন একটিতে জয় পেলেই ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করবে বাংলাদেশ। সাত ম্যাচে চার জয়ে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে এখন পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের সমান ৪০ পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে এগিয়ে থেকে বাংলাদেশের উপরে রয়েছে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ড নয় ম্যাচে চারটি জয় পেয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া জয় পেয়েছে ছয় ম্যাচের চারটিতে। তাই একটি ম্যাচ জিতলে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে যাবে বাংলাদেশ।

সর্বশেষ বিশ্বকাপে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল দশ দল। যেখানে র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা আট দল সরাসরি অংশ নিয়েছিল বিশ্বকাপে আর বাকি দুই দল সুযোগ পেয়েছিল বাছাই পর্ব খেলে। আগামী বিশ্বকাপে দশ দল অংশ নিলেও আগের নিয়ম আর থাকছে না।

ভারতে অনুষ্ঠিত আগামী বিশ্বকাপে খেলার জন্য আইসিসির ২২ টি পূর্ণ সদস্য দল ও নেদারল্যান্ডস সহ মোট ১৩ টি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বকাপ সুপার লিগ। সুপার লিগের শীর্ষ সাত দল সরাসরি বিশ্বকাপে অংশ নেবে। শীর্ষ সাত দলের ভিতর স্বাগতিক ভারত থাকলে আট নম্বর দল বিশ্বকাপের টিকিট পাবে।

বাকি দুই জায়গার জন্য লড়াই করবে সুপার লিগের শেষে থাকা পাঁচ দল ও আইসিসির সহযোগী সাতটি দেশ নিয়ে আয়োজন করা বাছাই পর্বের শীর্ষ তিন দল। বাছাই পর্বে অংশ নেবে আইসিসির সহযোগী সাতটি দেশ আরব আমিরাত, নেপাল, ওমান, পাপুয়া নিউ গিনি, যুক্তরাষ্ট্র, স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়া। এই সাতটি দেশ ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৩৬ টি করে ম্যাচ খেলবে।

সুপার লিগে অংশ নেওয়া ১৩ টি দেশই চারটি করে হোম সিরিজ এবং চারটি করে অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে। প্রতিটা সিরিজে থাকবে তিনটি করে ওয়ানডে। চাইলে সিরিজে ম্যাচ সংখ্যা বাড়াতে পারবে দল গুলো। তবে সে গুলো সুপার লিগের অংশ হবে না। সিরিজের প্রতিটা ম্যাচে থাকবে দশ পয়েন্ট করে। ম্যাচ টাই বা পরিত্যক্ত হলে সমান পাঁচ পয়েন্ট করে পাবে দুই দলই।

বাছাই পর্বের ১৩ টি দল আটটি সিরিজে মোট ২৪ টি ওয়ানডে খেলবে। প্রতিটা দলের জন্য ২৪ ম্যাচে থাকবে ২৪০ পয়েন্ট। বাংলাদেশ ঘরের মাঠে চারটি সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিস, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আর প্রতিপক্ষের মাঠে সিরিজ খেলবে নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের সাথে।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে সিরিজ খেলেছে ও শ্রীলঙ্কার সাথে সিরিজ খেলছে। আর দেশের বাইরে একটি সিরিজ খেলেছে নিউজিল্যান্ডের সাথে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...