Social Media

Light
Dark

চেন্নাইয়ে হবে স্পিনার ব্যাটেল, ইতিহাসও দিচ্ছে সাক্ষ্য

চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দিতে চলেছে। সেই স্টেডিয়ামের উইকেট হতে চলেছে লাল মাটির।

চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দিতে চলেছে। সেই স্টেডিয়ামের উইকেট হতে চলেছে লাল মাটির। তাতে করে শুষ্কতা বেড়ে ফেটে যাবে উইকেটের উপরের মাটিতে। আর এরপরই শুরু হবে স্পিনারদের ত্রাস। এমনটাই পরিকল্পনা ভারতের। এর পেছনে অবশ্য রয়েছে বিশেষ কারণ।

চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচটি ভেন্যুর ৩৫ তম টেস্ট ম্যাচ। সেখানে এখন অবধি হওয়া টেস্ট ম্যাচে ভারতের পক্ষে সর্বাধিক উইকেট শিকার করেছেন স্পিনাররাই। সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন অনিল কুম্বলে। টেস্টে ভারতের সবচেয়ে সফল বোলারদের একজন তিনি।

৪৮টি উইকেট তিনি বাগিয়েছেন। তার থেকেও বড় বিষয় কুম্বলের করা ২৩.৭ শতাংশ ওভারই ছিল মেইডেন। কোন প্রকার রানই নিতে পারেনি প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা। চেন্নাইয়ের উইকেট ঠিক কতটা স্পিন সহায়ক, তা অন্তত এই পরিসংখ্যানেই প্রমাণিত হয়।

সমুদ্রের খুব কাছাকাছি হওয়ায় আদ্রতাও একটা বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। গরম অনুভূত হয় বেশি। রোদের তীব্রতাও বরাবরই বেশি। তাতে করে উইকেটে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। যা ব্যাটারদের জন্যে দুর্বিষহ এক পরীক্ষার মঞ্চে পরিণত হয়।

সেজন্যই চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলারও একজন স্পিনার। হরভজন সিং ৪২টি উইকেট আদায় করেছেন প্রতিপক্ষের। ঠিক সে কারণেই চিদাম্বারামকে স্পিনারদের স্বর্গ বলা চলে। আর সেই পন্থায় বাংলাদেশকে কুপোকাত করতে চায় ভারত।

যদিও পেসারদের জন্য একেবারেই নির্বিষ নয় চেন্নাইয়ের উইকেট। সে প্রমাণ অবশ্য রেখে গেছেন কপিল দেব। তার পকেটে রয়েছে ৪০টি উইকেট। ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন টেস্ট ম্যাচের শুরুর দিকে পেসাররা বাড়তি সুবিধা পেতে চলেছেন। যেহেতু উইকেটে শুষ্কতা তুলনামূলক বেশি থাকবে। বাড়তি বাউন্স পাবেন পেসাররা। আর এসজি বলের প্রভাবেও পেসারদের উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে, বিশেষ করে সিম বোলারদের।

তাইতো ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশকে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে মাঠ নামতে হবে। সম্ভাবনা প্রবল একজন পেসার কমিয়ে বাড়তি একজন স্পিনারকে অন্তর্ভুক্ত করবে বাংলাদেশ। সেদিক থেকে সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজের পাশাপাশি তাইজুল ইসলামকে একাদশে দেখা যেতে পারে।

চেন্নাইয়ে স্পিনার ব্যাটেল হতে চলেছে সেটা মোটামুটি নিশ্চিত। বাংলাদেশি ব্যাটারদের তাই বাড়তি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তাছাড়া বাংলাদেশের স্পিনারদেরও নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিতে হবে। কেবল তবেই ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসা সম্ভব।

Share via
Copy link