অজি ক্রিকেটের অন্ধকার

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ঐতিহ্য হচ্ছে দলকে জেতানোর জন্য সব কিছু নিয়ে ঝাঁপানো। ব্যক্তিগত মাইলফলক-কে উপেক্ষা, ঘৃণ্য রেসিজম, বারংবার আপিল, যাচ্ছেতাই স্লেজিং, মাথা লক্ষ্য করে বাউন্সার - সব চলবে। কিন্তু আগুন নিয়ে খেলতে গেলে মাঝে মাঝে হাত তো পুড়বেই। সেরকমই পুড়েছিলো বল টেম্পারিং কাণ্ডে।

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ঐতিহ্য হচ্ছে দলকে জেতানোর জন্য সব কিছু নিয়ে ঝাঁপানো। ব্যক্তিগত মাইলফলক-কে উপেক্ষা, ঘৃণ্য রেসিজম, বারংবার আপিল, যাচ্ছেতাই স্লেজিং, মাথা লক্ষ্য করে বাউন্সার – সব চলবে। কিন্তু আগুন নিয়ে খেলতে গেলে মাঝে মাঝে হাত তো পুড়বেই। সেরকমই পুড়েছিলো বল টেম্পারিং কাণ্ডে।

তিনজন টপ ফর্মের প্লেয়ারের মাথা কাটা গিয়েছিল সেবার। এই নিয়ে বিস্তারিত ডকুমেন্টারি, ইন্টারভিউ সবই সহজলভ্য। এটাও আবার অস্ট্রেলিয়ার আদব-কায়দার মধ্যেই পরে। ভুল স্বীকার করো, শাস্তি মাথা পেতে নাও, এরপরে জীবনে এগিয়ে চলো। উপমহাদেশের দেশগুলি – অর্থাৎ মূলত: ভারতবর্ষ এবং পাকিস্তানের সাথে অস্ট্রেলিয়ার এখানেই রয়েছে কিছু ফান্ডামেন্টাল পার্থক্য।

উপমহাদেশের বেশিরভাগ ক্রিকেটার এবং ফ্যানের মূল আকর্ষণ এখনো ব্যক্তিগত মাইলফলক। স্মরণীয় ব্যতিক্রমও আছে। ইমরান খান, মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা কপিল দেবরা এই তালিকায় পড়েন।

একবার ব্ল্যাক লিস্টেড হয়ে গেলে তার দিকে আর ঘুরে না তাকানো। ভূরি ভূরি উদাহরণ। মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, শ্রীধরণ শ্রীশান্থ কিংবা মোহাম্মদ আশরাফুল। শ্রীশান্থ এবং আজহার দুজনের কাউকেই কিন্তু দোষী প্রমাণ করা যায়নি। শুধু ক্যারিয়ারটা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা দ্বিতীয় সুযোগ পান নি। আর আশরাফুলের সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বয়স। অন্যদিকে স্টিভেন স্মিথ ও ডেভি ওয়ার্নার – দুজনের স্বমহিমায় বা বলা ভালো আরো উজ্জ্বল হয়ে টেস্টের আঙিনায় ফেরত এসেছেন।

তাহলে কী এমন কিছুই নেই যেখানে অস্ট্রেলিয়াও খারাপ, উপমহাদেশও খারাপ? অবশ্যই আছে।

বল টেম্পারিং কাণ্ডে শুধু ক্রিকেটাররাই ‘ঘোষিত’ শাস্তি পেয়েছিলেন। মানে সুপারি কিলিং যে করেছে সে জেল খাটল, কিন্তু যে সুপারি কিলারকে ভাড়া করেছে তার কোন দোষ নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৮৫ রানে বান্ডিল হয়ে যাওয়ার অপমান সইতে না পেরে অস্ট্রেলিয়ান টিমের নন-প্লেয়িং কর্ণধারেরা টিমকে বাধ্য করেন রিভার্স সুইঙের জন্য বল টেম্পারিং করতে। ‘You’d have to be a blind Labrador to not realize more than three people were involved’ – ওয়ার্নারের ম্যানেজার উবাচ।

বল টেম্পারিংকে একটুও সমর্থন না করেও এটা মনে রাখা যেতে পারে যে দেশকে হারানোর জন্য কোন অস্ট্রেলিয়ান এখনো প্রস্তাব পেয়ে গ্রহণ করেছেন বলে শোনা যায় নি। শেন ওয়ার্ন দাবি করেছিলেন সেলিম মালিক এরকম প্রস্তাব দিয়েছিলেন, এবং সেলিম অবশ্যই সেটা অস্বীকার করেন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...