ওয়ার্নারের ‘কংক্রিট’ লড়াই

শ্রীলঙ্কার জন্য টি-টোয়েন্টিতে তিনি পরিষ্কার এক আতঙ্কের নাম।

সর্বশেষ সাক্ষাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচে একবারও আউট হননি। রান করেছিলেন- ১০০*, ৬০* ও ৫৭*। কিন্তু আগামীকাল শ্রীলঙ্কা আসলেই তাকে নিয়ে আতঙ্কিত হবে কি না, বলা মুশকিল। কারণ, যাচ্ছেতাই ফর্মের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার।

আইপিএল, প্রস্তুতি ম্যাচ ও বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে একেবারেই রান পাননি ওয়ার্নার। তিনি নিজে অবশ্য এটাকে ‘আউট অব ফর্ম’ বলতে রাজি নন। তবে এটা স্বীকার করেছেন যে, ছন্দে ফেরার জন্য ব্যাটিং কোচের পরামর্শে ইদানিং কংক্রিট উইকেটে ব্যাট করছেন।

আইপিএলে দুই ম্যাচে ০ ও ২ রান করার পর সানরাইজার্স হায়দারাবাদের একাদশ থেকে বাদ পড়েন। এরপর বিশ্বকাপের দুই প্রস্তুতি ম্যাচেও ০ ও ১ রান করেন। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে করেছেন ১৪ রান।

কিন্তু ওয়ার্নার বলছিলেন, তিনি এটাকে খারাপ সময় হিসেবে দেখছেন না। তিনি বরং মজা পাচ্ছেন। ওয়ার্নার মনে করেন, তিনি ভালো একটা ইনিংস থেকে একটা মাত্র বাউন্ডারি দূরে আছেন। বলছিলেন, ‘আমার দৃষ্টিকোন থেকে বলতে পারি, আমার ফর্ম নিয়ে লোকেদের কথা বলাটা হাস্যকর মনে হচ্ছে। আমি এটা নিয়ে হাসছি, কারণ আইপিএলের আগে আমি প্রায় ক্রিকেট খেলিই-নি। তারপর আমি দুটো ম্যাচ খেলে বাদ পড়লাম। কারণ, ওরা (হায়দারাবাদ) তরুনদের একটা সুযোগ দিতে চাচ্ছিলো।’

ওয়ার্নার বলছেন, তিনি মনে করেন, প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরম্যান্সও হিসাব করা উচিত না। বললেন, ‘আমি মনে করি, সব ঠিকই আছে। আর ওয়ার্ম আপ ম্যাচ তো ওয়ার্ম আপই। আগের দিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমার মনে হয়েছিলো, আমার পা বা অন্যান্য ব্যাপার যেমন থাকা উচিত, তাই ছিলো। আমি মনে করি, আমি ঠিক আছি। নেটে বল ভালো খেলছি। আমার মনে হয়েছে, আমি ভালো একটা ইনিংস থেকে একটা মাত্র বাউন্ডারি দূরে আছি।’

তবে ওয়ার্নার এটা স্বীকার করছেন যে, নিজেদের ছন্দ ফিরে পেতে তিনি ও অ্যারন ফিঞ্চ দুবাইতে পালিশ করা কংক্রিট উইকেটে ব্যাট করছেন। ট্রেন্ড উডহিলের পরামর্শে এটা করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ওয়ার্নার বলেন, ‘আমার ব্যাটিং কোচ ট্রেন্ড উডহিল আমাকে একটা টেক্স পাঠিয়েছেন এবং বলেছেন, সিনথো (কৃত্রিম উইকেট) উইকেটে ব্যাটিং চেষ্টা করার জন্য। এতে পায়ের মুভমেন্ট আরও ভালো হবে। আমি এটা দেশে বসে আগেও করেছি। এতে আপনি ব্যাটে বলকে আরও ভালো আনতে পারবেন। তবে এই ট্রেনিংয়ের ফলে আপনার পা বেশি নড়াচড়া শুরু করতে পারে। কারণ, সত্যিকারের উইকেটের চেয়ে এখানে বল একটু ভিন্ন জায়গায় আসবে ব্যাটে ‘

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link