ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে বড় টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। অনেকেই মনে করেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ও বিগ ব্যাশের পরই সিপিএলের অবস্থান। আর, ক্যারিবিয়ান এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এছাড়া টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে দেশটির সাফল্যও কম না। ওয়েস্ট ইন্ডিজই একমাত্র দেশ যারা দুটি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে।
সিপিএল থেকে নতুন ক্রিকেটাররাও উঠে আসছে। দেশটির তরুণ ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তারকাদের সাথে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বেশ বড় কিছু তারকাকেও এই আসরের সাথে যুক্ত হতে দেখা গিয়েছে। যাদের কথা হয়তো অনেকেরই মনে নেই। তাঁদের নিয়েই এই তালিকা।
- রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া)
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক রিকি পন্টিং। সিপিএলের প্রথম আসরেই এই লিগে খেলেছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে অ্যান্টিগা হকবিলসের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। যদিও এই দলটির অধিনায়ক তিনি ছিলেন না। দলটির হয়ে মোট ৭ টি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। তবে সিপিএলে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ৭ ম্যাচ খেলে ১০.২৫ গড়ে করেছিলেন ৪১ রান। ফলে অনেকেরই হয়তো মনে নেই এই তারকা ক্রিকেটার যে সিপিএলে খেলেছিলেন।
- জাস্টিন কেম্প (দক্ষিণ আফ্রিকা)
দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার জাস্টিন কেম্পও সিপিএলে খেলেছিলেন রিকি পন্টিং এর সতীর্থ হয়ে। অ্যান্টিগুয়ার হয়ে ২০১৩ সালে মাঠে নেমেছিলেন তিনিও। তবে সেই আসরে তিনি মাত্র ৩ টি ম্যাচ খেলেছিলেন। ৩ ম্যাচে সবমিলিয়ে করেছিলেন ৩৮ রান। এছাড়া বল হাতেও খুব একটা সফল ছিলেন না সেই আসরে। ফলে তাঁর সিপিএলে খেলার কথাও মনে নেই অনেকেরই।
- হারশেল গিবস (দক্ষিণ আফ্রিকা)
দক্ষিন আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যানও খেলেছিলেন এই ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। আক্রমনাত্মক শুরুর জন্য পরিচিত হলেও সিপিএলে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি তিনিও। এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান সিপিএলে খেলেছিলেন মোট সাত ম্যাচ। সেখানে ১১.৮৩ গড়ে করেছিলেন ৭১ রান।
- মাহেলা জয়াবর্ধনে (শ্রীলঙ্কা)
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন জয়াবর্ধনে। দেশটির সাবেক এই অধিনায়ক ও খেলেছিলেন ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগে। ২০১৩ সালের সিপিএলে ত্রিনিদাদের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন এই ব্যাটসম্যান। তালিকার বাকিদের মত লঙ্কান এই ব্যাটসম্যানও এই আসরে ব্যাট হাতে ভুগেছিলেন। তিন ম্যাচে এই ব্যাটসম্যানের সংগ্রহ ছিল মাত্র ১৪ রান। সেই আসরে সর্বোচ্চ ১১ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
- ডেল স্টেইন (দক্ষিণ আফ্রিকা)
দক্ষিণ আফ্রিকার আগ্রাসী এই পেস বোলারও ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে খেলেছিলেন সিপিএলে। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ২০১৬ সালের আসরে জ্যামাইকার হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। তবে এই তালিকায় একমাত্র ডেল স্টেইনই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পেরেছিলেন। সেবার জ্যামাইকা আসরের শিরোপাও জিতেছিল। ডানহাতি এই পেস বোলার ৮ ম্যাচে নিয়েছিলেন মোট ১২ উইকেট।