আইপিএল সবার ঊর্ধ্বে নয়!

ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ধারণাটা আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছে আইপিএল। আগে আইপিএল চলাকালীন সময় বিভিন্ন দেশ দ্বিপাক্ষীয় সিরিজ খেললেও এখন আর সেইটা হয় না। কারণ ওই সময়ে ক্রিকেটাররা দেশের হয়ে খেলার থেকে বরং আইপিএল খেলাকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এটাই স্বাভাবিক। এটা অর্থের দিক থেকে যতটা লোভনীয় ঠিক ততটাই প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ লিগ হয়ে থাকে আইপিএল।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) সারা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং জমজমাট ক্রিকেট লিগ। এখানে সারা বিশ্বের সব ক্রিকেটারই খেলতে চায়। অর্থ, সন্মান কোনো দিক থেকেই আইপিএল পিছিয়ে নেই। বিশেষ করে অর্থের কথা চিন্তা করলে আইপিএলের থাকে আকর্ষণীয় কোনো লিগ হতে পারেনা।

ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ধারণাটা আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছে আইপিএল। আগে আইপিএল চলাকালীন সময় বিভিন্ন দেশ দ্বিপাক্ষীয় সিরিজ খেললেও এখন আর সেইটা হয় না। কারণ ওই সময়ে ক্রিকেটাররা দেশের হয়ে খেলার থেকে বরং আইপিএল খেলাকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এটাই স্বাভাবিক। এটা অর্থের দিক থেকে যতটা লোভনীয় ঠিক ততটাই প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ লিগ হয়ে থাকে আইপিএল।

এতো কিছু ঘটার পরও অনেক ক্রিকেটার আইপিএলে সুযোগ পেয়েও নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে নিজেদের দেশের ঘরোয়া লিগ এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময় দেয়ার জন্য এই সময়টাতে নিজেকে ছুটিতে রাখে। সেই তালিকা নিয়ে খেলা ৭১-এর আজকের এই আয়োজন।

  • কুশল পেরেরা (শ্রীলঙ্কা)

শ্রীলঙ্কার উইকেটরক্ষক কাম ওপেনিং ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরা। তিনি আইপিএলে খেলেছেন দুই ম্যাচ। দুই ম্যাচে রান করেছেন ১৪ রান। ২০১৪ সালের আইপিএলের নিলামের আগে রাজস্থান দল থেকে বাদ পরেন কুশল পেরেরা। এর পরে আর কখনো আইপিএলে খেলেননি তিনি।

২০১৮ সালের আইপিএলের সময় ডেভিড ওয়ার্নারের নিষেধাজ্ঞার কারণে তাকে ডেকেছিলো সানরাইজার্দ হায়দ্রাবাদ। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটের সময় দিবেন বলে আইপিএল খেলতে আসেননি কুশল পেরেরা। ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত পারফর্ম করে শ্রীলংকা টেস্ট দলে নিজের জায়গা পাকা করে নেন কুশল পেরেরা।

  • মিশেল মার্শ (অস্ট্রেলিয়া)

অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম প্রতিভাবান অলরাউন্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয় মিচেল মার্শকে। তাঁর ক্যারিয়ার জুড়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা ইনজুরি জনিত সমস্যা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের আগেই আইপিএলে সুযোগ পান মিচেল মার্শ। ২০১০ সালে ডেকান চার্জাস দলে খেলেন মার্শ। কিন্তু ইনজুরির কারণে মৌসুমের সব ম্যাচ খেলতে পারেননি। পরের বছরে আইপিএলে খেলেন পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে এবং মৌসুমের ১৪ ম্যাচেই খেলেন তিনি। ২০১১-১৩ সাল পর্যন্ত রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টের হয়ে খেলেন মিচেল মার্শ।

এরপর কয়েকটি আসরে ছিলেন না মিশেল মার্শ। ২০১৬ সালে আবারো ফিরেন আইপিএলে। কিন্তু ইনজুরি জনিত সমস্যার কারণে আবারো ২০১৭ সালে আইপিএল মিস করেন মিচেল মার্শ। ২০১৮ সালের আইপিএলে দলে পেলেও টেস্ট ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুতির জন্য আইপিএল না খেলে কাউন্টি ক্রিকেটে মনযোগ দেন তিনি।

  • তুষার দেশপান্ডে (ভারত)

তুষার দেশপান্ডে গত আইপিএলে খেলেছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে। আর আগেই আইপিএলে খেলার সুযোগ ছিলো তুষার দেশপান্ডের। ২০১৯ সালে আইপিএলের নিলামের আগে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ট্রায়ালে ডাক আসে তাঁর। কিন্তু সেখানে তিনি অংশ নেননি।

এর থেকে তিনি নিজের ক্লাবের হয়ে ছোটো টুর্নামেন্টে খেলাকেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। এছাড়াও দিল্লি ক্যাপিটালস, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস এবং রাজস্থান রয়্যালসের থেকেও ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তুষার দেশপান্ডে বিশ্বাস করতেন মাঠে ভালো পারফর্ম করতে পারলে এমনিতেই আইপিএলে দল পাবেন। আর এটাই ঘটেছে তুষার দেশপান্ডের জীবনে।

  • রবি বোপারা (ইংল্যান্ড)

রবি আইপিএলে খেলেছেন ২০০৯ এবং ২০১০ মৌসুমে। এরপরে আর আইপিএলে খেলতে পারেননি তিনি। ২০১১ সালে আইপিএলের আগে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা পান। এর কারণে ২০১১ সালের আইপিএল খেলতে পারেননি তিনি। জাতীয় দলে নিজের অবস্থান ঠিক রাখতে আইপিএল না খেলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পরবর্তী সময়ে আর আইপিএলে খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ইসিবি।

আইপিএল নিয়ে ইসিবির তুলে দেয়া নিশেধাজ্ঞার পর ২০১৫ সালে আইপিএলে খেলেন রবি বোপারা।

 

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...