শ্রীলঙ্কার সাথেই যেন অদ্ভুত সব আউটের দৃষ্টান্ত স্থাপনে তৎপর বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে টাইমড আউটের রেশ কাটেনি এখনও। এরই মধ্যে আবার মানকাড আউটের চেষ্টাও চালিয়ে ফেলেছেন খালেদ আহমেদ। তবে শেষ অবধি সেটা আর করা হয়ে ওঠেনি তার।
ঘটনাটা ঘটে মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগের ওভারে। শ্রীলঙ্কার আগের ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ান ধনঞ্জয় ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশের গলার কাটা। কোন ভাবেই যেন তাদেরকে আউট করবার উপায়ন্তর খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশের বোলাররা। বেরসিক উইকেটও দিচ্ছে ব্যাটারদের সহয়তা।
কোন না কোন ভাবে তো ব্রেকথ্রু আনা চাই। তাছাড়া প্রতিপক্ষ আর কত বাড়তি সুবিধা নেবে। প্রথমত উইকেট দিচ্ছে সুবিধা, আবার ক্রিজ থেকে বাইরে বেড়িয়ে এসে নন স্ট্রাইকিং ব্যাটারও নিতে চাইছে সুবিধা। এত সুবিধায় দুর্দিন যে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।
তবে মানকাড আউটের চেষ্টাটা খালেদ ঘুনাক্ষরেও বুঝতে দিলেন না। তখন নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস। খালেদ নিজের স্বাভাবিক রানআপে দৌড়ে এলেন। একেবারেই বুঝতে দিলেন না যে তিনি কামিন্দুকে রানআউট করতে চলেছেন।
বল ছোড়ার জন্যে নিজের হাতও ঘুরিয়েছিলেন তিনি। তবে বলটা স্ট্রাইকিং প্রান্তে না পাঠিয়ে, সেটা নন স্ট্রাইকিং প্রান্তের স্ট্যাম্পে আঘাত করানোর চেষ্টা করেন। তার নজর তখনও স্ট্রাইকিং প্রান্তের দিকেই। তাতে রীতিমত ধোকা খেয়ে যান ধনঞ্জয়। তবে এমন চতুরতার পরও সাফল্যের দেখা পাননি খালেদ।
তার নো লুক মানকাড আউটের দৃশায়ন হয়নি ঠিকঠাক। বল স্ট্যাম্পে লাগাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হন খালেদ। তাতে করে বেঁচে যান কামিন্দু মেন্ডিস। সেই ওভারেই নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। অথচ বল স্ট্যাম্পে লাগলেই কাঙ্ক্ষিত সেই উইকেটের দেখা পেয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। যদিও তাতে নতুন করে আবারও স্পিরিট অব ক্রিকেটের দামামা বেজে উঠত। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বৈরথ পেত নতুন মাত্রা।