ক্র্যাম্পিংটাকে যেন প্রতিনিয়তই শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ধারাভাষ্য কক্ষে থাকা ধারাভাষ্যকার বলেই ফেললেন, ‘এটা রীতিমত ব্যাথাদায়ক এক কৌতুক!’
ঘটনাটা ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান ম্যাচের। মোহাম্মদ রিজওয়ান তখন ৫১ বলে ৩৬ রানে ব্যাট করছিলেন। ইনিংসের ২৩তম ওভারে বোলিং প্রান্তে এসেছিলেন মঈন আলী। ঐ ওভারেরই তৃতীয় বলটা ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়েছিলেন রিজওয়ান। কিন্তু তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।
ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে ব্যাটে বলের সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন রিজওয়ান। আর তাতেই বোল্ড হন পাকিস্তানি এ ব্যাটার। কিন্তু ক্রিজ ছেড়ে আসতেই ডান পায়ের মাংসপেশিতে টান পড়ায় এক পায়ে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি রিজওয়ান। পিচের উপরেই পড়ে যান তিনি।
রিজওয়ানের এমন পড়ে যাওয়া দেখেই মাইক্রোফোন হাতে ইয়ান ওয়ার্ড বলে ওঠেন, এটা চূড়ান্ত মাত্রার ব্যথাদায়ক কৌতুক। অবশ্য পিচে পড়ে যাওয়ার পর রিজওয়ানকে পরবর্তীতে উঠে দাঁড়াতে বেশ লড়াই-ই করতে হয়েছে।
প্রায় মিনিট দুয়েক পর তিনি মাঠে ছাড়েন। ক্র্যাম্পিংয়ে পড়ে যেমন নিজেকে রাঙাতে পারেননি রিজওয়ান, তেমনি এ দিন ইংল্যান্ডের কাছেও অসহায় আত্মসমর্পণ ঘটে পাকিস্তানের। ইংলিশদের কাছে ৯৩ রানের বড় পরাজয় বরণ করতে হয়েছে পাকিস্তানকে।
রিজওয়ানের ক্ষেত্রে ক্র্যাম্পিংয়ের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এ বারের বিশ্বকাপেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড রান তাড়া করতে গিয়ে মাংসপেশিতে টান পড়েছিল রিজওয়ানের। তারপর সেই ক্র্যাম্পিং নিয়েই রিজওয়ান পাকিস্তানকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর সেঞ্চুরিতেই বিশ্বকাপের মঞ্চে রেকর্ড রান তাড়ায় জয়ের রেকর্ড গড়েছিল পাকিস্তান।