ডিআরএস না থাকায় যত সমস্যা

এই বিষয়ে বিসিবির এক কর্মকর্তা বলছিলেন, ‘আমরা আসলে আগামী বছরের আগে বিপিএলের জন্য নির্দিষ্ট একটা সময় বের করতে পারব না। পরের সাইকেলের আগে আমরা হয়তো আইসিসিকে অনুরোধ করবো যেনো বিপিএলের জন্য একটা স্লট খালি রাখা হয় প্রতিবছর। কেননা এখন অনেক খেলা আছে আমাদের। ফলে আগামীবছর কবে আয়োজন করা যাবে সেটাও এখন নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা।‘

মাঠের লড়াইয়ে এবছরের বিপিএল ইতোমধ্যেই বেশ জমে উঠেছে। দিনের ম্যাচ গুলোতে খুব বেশি রান না হলেও রাতের ম্যাচ গুলো জমছে বেশ। সবমিলিয়ে প্রথম ঢাকা পির্বের চারদিনকে একেবারে খারাপ বলা যাবেনা। তবে একটা প্রশ্ন কোনভাবেই বিপিএলের পিছু ছাড়ছেনা। ডিআরএস অর্থাৎ ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম ছাড়াই এবার মাঠে গড়ালো বিপিএল।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ডিআরএস আনতে না পারার কারণ হিসেবে দেখিয়েছে করোনাকে। করোনার বিস্তার বাংলাদেশে আবার বেড়ে যাওয়ায় কোন হক আই এক্সপার্ট আসতে রাজি হননি বলে জানায় বিসিবি। তবে  বিপিএলে ডিআরএস আনতে না পারার আরো অনেক কারণ আছে বলেই মনে করেন অনেকে।

বিপিএলের অনিশ্চয়তাও এখানে একটি বড় কারণ। বিপিএলে এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোন সময় বাঁধা নেই। এছাড়া বিপিএল যে আগামী বছর হবে সেই নিশ্চয়তাও নেই। ফলে ডিআরএস সার্ভিস দেয়া কোম্পানি গুলো বাংলাদেশে আসতে রাজি হয়নি। তাঁরা বরং অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোতে কাজ করার ব্যাপারে বেশি আগ্রহ দেখায়। কেননা সেখানে সবকিছু ঠিক করা থাকায় তাঁদের জন্য কাজ করা অনেক সহজ হয়ে যায়।

এই বিষয়ে বিসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ক্রিকবাজকে বলছিলেন, ‘আমরা আসলে আগামী বছরের আগে বিপিএলের জন্য নির্দিষ্ট একটা সময় বের করতে পারব না। পরের সাইকেলের আগে আমরা হয়তো আইসিসিকে অনুরোধ করবো যেনো বিপিএলের জন্য একটা স্লট খালি রাখা হয় প্রতিবছর। কেননা এখন অনেক খেলা আছে আমাদের। ফলে আগামীবছর কবে আয়োজন করা যাবে সেটাও এখন নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ক্যালেন্ডারটাও ঠিক থাকেনি করোনার কারণে। অনেক আন্তর্জাতিক সিরিজ নতুন করে সাজাতে হয়েছে। তবে আমার ধারণা আগামী এফটিপি সাইকেলের আগে আমরা এইগুলো গুছিয়ে নিতে পারবো আর আমাদের কাজও অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে।’

ডিআরএস নিয়ে বিপিএল শুরুর আগে থেকেই আলোচনা হচ্ছিল। তবে এই আলোচনা নতুন করে বেগ পেয়েছে মিনিস্টার ঢাকা ও সিলেট সানরাইজার্সের ম্যাচের কারণে। এই ম্যাচে মোট তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত গুলো আরো বেশি করে মনে করিয়ে দিয়েছে কেন বিপিএলে ডিআরএস ভীষণ দরকার ছিল।

তামিম ইকবাল এই ম্যাচে তাঁর এলবিডাব্লিউ এর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছিলেন না। এছাড়া আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নাঈমের আউট নিয়েও ছিল বেশ আলোচনা-সমালোচনা। এই নিয়ে বিসিবি আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমানও ডিআরএস না থাকার সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন।

ডিআরএস  না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য একটা শিক্ষা ছিল। আগামী দিন গুলোতে এসব বিষয় নিয়ে আমাদের আরো বেশি সচেতন থাকতে হবে। আপনি যদি বিশ্বক্রিকেটে দেখেন, ডিআরএস কিন্তু আম্পায়ারদের ভুল অনেক কমিয়ে ফেলছে। এরপর থেকে আমরা নিশ্চিত করবো যেন বিপিএলের মত টুর্নামেন্টে অবশ্যই ডিআরএস থাকে।’

এছাড়া টুর্নামেন্ট আম্পায়ার শরফুদৌল্লা ইবনে সৈকত ও মাসুদুর রহমানরাও জানিয়েছেন ডিআরএস ছাড়া তাঁদের জন্য কাজটা ভীষণ কঠিন হয়ে যাবে। ইবনে সৈকত বলেন,’ আমাদের জন্য এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা আসলে ডিআরএস এর সাথে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি এবং এটা এখন ক্রিকেটের একটা বড় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

এছাড়া মাসুদুর রহমান বলেন, ‘নো বল একটা বড় ইস্যু। কেননা আমরা এখন আর এটা সবসময় খেয়াল করিনা যেহেতু টেকনিক্যাল সাপোর্ট পাওয়া যায়।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...