দুই বছর নিষিদ্ধ কাজী অনিক

তাঁর অপরাধ খুবই গুরুতর। তিনি ডোপ টেস্টে পজিটিভ এসেছেন। জাতীয় ক্রিকেট লিগে অংশ নেওয়ার আগে সকল ক্রিকেটারদের নমুনা পরীক্ষা করেছিল বিসিবি। সেখানেই ‘ধরা’ পড়েন কাজী অনিক। 

এমন কিছু একটা যে হতে চলেছে, তার আভাস মিলেছিল আগেই। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আসলো চূড়ান্ত ঘোষণা। দু’বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন তরুণ ক্রিকেটার কাজী অনিক।

তাঁর অপরাধ খুবই গুরুতর। তিনি ডোপ টেস্টে পজিটিভ এসেছেন। জাতীয় ক্রিকেট লিগে অংশ নেওয়ার আগে সকল ক্রিকেটারদের নমুনা পরীক্ষা করেছিল বিসিবি। সেখানেই ‘ধরা’ পড়েন কাজী অনিক।

অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সাবেক এই বাঁ-হাতি পেসার বেশ প্রতিভাবান বলেই পরিচিত ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি খেলেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট। গতিশীল বলে বেশ সুনামও ছিল তাঁর।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) তিনি খেলেছেন ঢাকা ডায়নামাইটস ও রাজশাহী কিংসের মত দলে। বিসিবি তাঁকে ভবিষ্যতের জন্যও বিবেচনা করছিল, তবে এবার নিজের ভুলেই ক্যারিয়ার জলাঞ্জলি দিতে বসেছেন তিনি।

বিসিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গেল ছয় নভেম্বর ২০১৮ সালে কক্সবাজারে অনিকের নমুনায় নিষিদ্ধ ড্রাগ মেথামফেটামিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তিনি নিজের দায় স্বীকার নিয়েছেন। তিনি বিসিবির অ্যান্টি ডোপিং কোডের ২.১ ধারা ভঙ্গ করেছেন।

প্রথমবার পজিটিব আসায় বিসিবি তাঁর প্রতি একটু সহনশীল, তাঁকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। শাস্তি ২০১৯ সালের আট ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়েছে। এর অর্থ হল আগামী বছরের সাত ফেব্রয়ারি পর্যন্ত তিনি কোনো রকম ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হতে পারবেন না।

গেল বছর বিপিএল শেষ মুহূর্তে তাঁকে ড্রাফট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তখনই অনুমান করা হচ্ছিল, নিষিদ্ধ হতে চলেছেন তিনি। তবে, নিষিদ্ধ হলেও নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে আর মাত্র সাড়ে ছয় মাস বাকি আছে ২১ বছর বয়সী এই পেসারের।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...