‘নিজের ভিতর অনেক জেদ কাজ করে’

আগের দুইটা সিরিজের স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে নিয়মিত জায়গা পাননি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। গতকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়েই দারুণ বল করেছেন এই পেসার। সাইফউদ্দিন জানিয়েছেন দলে সুযোগ পেতে নিজের ভিতরই অনেক জেদ কাজ করেছে তার।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এই পেসার বলেছেন দলে নিয়মিত হতে গত মাসে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন তিনি। ঈদের ছুটি কাটিয়ে সাইফউদ্দিন বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরেছিলেন শ্রীলঙ্কা সিরিজে ভালো করার পরিকল্পনা করেই।

তিনি বলেন, ‘শেষ মাসটা রোজার মাস ছিলো, অনেক কাজ করেছি। নিউজিল্যান্ড সিরিজ বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ বলেন সে ভাবে সুযোগ পাচ্ছিলাম না। নিজের ভিতর অনেক জেদ কাজ করে। চেষ্টা করেছি এই সিরিজের প্রথম থেকেই খেলবো। এই গোল সেট করেই বাড়ি থেকে আসা। প্রথম ম্যাচে সুযোগ পেয়ে নিজেকে কিছুটা হলেও মেলে ধরতে পেরেছি। এখনো দুইটা ম্যাচ আছে। চেষ্টা করবো ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। ইনশাআল্লাহ বাকিটা দেখা যাক।’

১০২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরেও বাংলাদেশের হাত থেকে জয়টা প্রায় ছিনিয়েই নিচ্ছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। অস্টম উইকেটে উদানাকে নিয়ে তিনি যোগ করেন ৬২ রান। ম্যাচ যখন জমিয়ে দিয়েছিলেন এই জুটি তখনই হাসারাঙ্গাকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন সাইফউদ্দিন।

এই পেসার জানিয়েছেন অনূর্ধধ- ১৯ বিশ্বকাপে এক সাথে খেলার কারণে আগে থেকেই হাসারাঙ্গা সম্পর্কে জানা ছিল তার। তাই সে ভাবে ফিল্ডিং সাজিয়ে সফল হয়েছেন তিনি। আর বাংলাদেশের জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি এই পেসার।

সাইফউদ্দিন বলেন, ‘চাচ্ছিলাম যতো টুকু এফোর্ট দিতে পারি। বাংলাদেশের একটা জয় দরকার ছিলো। যেহেতু অবদান রাখতে পেরেছি এজন্য অনেক খুশি। হাসারাঙ্গার সাথে অনূর্ধধ-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছি। কিছুটা হলেও ওকে চিনি। অবশ্যই সে ভালো ব্যাট করেছে। তার পরেও উইকেট অনুযায়ী ফিল্ডিং সেটআপ করে ওর উইকেট বের করে আমি খুশি।’

১০ ওভার বল করে ৪৯ রান দিয়ে দুই উইকেট শিকার করেছিলেন সাইফউদ্দিন। আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ উইকেট না পেলেও মুস্তাফিজুর রহমান শিকার করেছিলেন তিন উইকেট। সাইফউদ্দিন জানিয়েছেন অপর প্রান্তে মুস্তাফিজ ভালো বল করাতে সুবিধা হয়েছে তাঁর।

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা জানি মুস্তাফিজ বিশ্বমানের বোলার। আইপিএল খেলে এসেছে এবং সফল। বোলিং জুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক পাশ থেকে কেউ এটাকিং বোলিং করলে আমার কাজটা সহজ হয়। এটা গুরুত্বপূর্ণ। অপর প্রান্ত থেকে যদি ১০-১৫ রান হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। কারণ ব্যাটসম্যান আমার উপর চওড়া হতে পারে। অপর প্রান্ত থেকে মুস্তাফিজ অনেক ভালো বল করে। তাই আমার কাজটা সহজ হয়ে যায়।’

বেশ কিছু দিন ধরেই তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। এই গরমে খেলাও তাই কঠিন হয়ে পড়েছে। সাইফউদ্দিন জানিয়েছেন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ধারণা হয়েছিল গরমে নিজকে ঠিক রাখার। তাই বাউন্ডারি লাইনে পানি স্যালাইন সব সময় রেখে দিচ্ছেন তাঁরা।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু এর আগে বিকেএসপিতে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি, একটা ধারণা হয়েছে এই গরমে নিজকে ঠিক রাখার। ওভারের মাঝখানে পানি খাওয়া, স্যালাইন খাওয়া। গতকাল বাউন্ডারি লাইনে পানি স্যালাইন রেখেছি। যেহেতু আন্তর্জাতিক ম্যাচ চেষ্টা করেছি নিজের শতভাগ দেওয়ার। ইনশাআল্লাহ দিতে পেরেছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link