সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো নারীদের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপের আয়োজকও ছিলো বাংলাদেশ।তবে করোনা বিপর্যয়ে অন্য সব খেলার সাথে স্থগিত হয়ে যায় বিশ্বকাপও। কিন্তু পরিস্থিতি পালটেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশেই মাঠে গড়াবে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের প্রথম আসর।
আজ মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে আমরা (মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের) আয়োজক হতে যাচ্ছি যেটা গত বছর হওয়ার কথা ছিল। করোনা মহামারীর কারণে হয়নি। এই বছর শেষের দিকে ডিসেম্বরে সেটা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে।’
ঘরের মাঠে এই বিশ্বকাপে ভালো করতে চায় বাংলাদেশ। তারই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গেম ডেভেলপমেন্টের সহযোগিতায় সারা দেশের বিভাগীয় কোচদের মাধ্যমে বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিসিবির নারী বিভাগ।
এ প্রসঙ্গে নাদেল বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতির একটি অংশ হিসেবে আমরা ইতোমধ্যে সারাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের বিভাগীয় কোচদের মাধ্যমে বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এখন আমরা করবো আমাদের গেম ডেভলপমেন্টের সহায়তায় এবং নারী বিভাগ যৌথভাবে বিভিন্ন বিভাগে পুরো দেশে জেলাভিত্তিক আমরা অনুর্ধ্ব ১৭ দলগুলো প্রস্তুত করতে চাই।’
সারা দেশে বাছাই প্রক্রিয়া শেষে বিশ্বকাপের জন্য জাতীয় দল গড়া হবে এবং এদেরকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় রাখা হবে বলে জানিয়েছেন নাদেল। তিনি বলেন, ‘সেই জায়গা থেকে বাছাই করে আমাদের জাতীয় দলও গড়ব। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দুটি কাজ হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় মেয়েদের একটা দল হয়ে যাচ্ছে, বিভাগেও হবে। জাতীয়ভাবেও আমরা আরেকটি দল তৈরি করবো। ভবিষ্যতে তাদেরকে নিয়ে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী দেখা যাবে এই দলটাই জাতীয় পর্যায়ে একটা সময় আমাদের প্রতিনিধিত্ব করবে।’
বাছাই প্রক্রিয়ার জন্য আইসিসির নির্দিস্ট বয়সসীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নাদেল বলেন, ‘এই জায়গায় আমরা একটা বয়সসীমা নির্ধারন করে দিয়েছি। আপনারা জানেন আইসিসিতে ১৪ বছরের নিচে কারো অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই এবং আমরা সেটাও করছি না। আমরা ১ সেপ্টেম্বর ২০০৩ থেকে ৩১ আগস্ট ২০০৬ এই সময়সীমায় যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তারাই আমাদের এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে এবং এই ভিডিও ফুটেজগুলো তারা নিজস্ব উদ্যোগে আমাদের কাছে পাঠাবে।’
করোনা প্রকোপের ভিতরই শুরু হবে বাছাই প্রক্রিয়া। তাই স্বাস্থ্য বিধি মেনেই সব করা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির নারী বিভাগের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধির দিকে আমরা অবশ্যই গুরুত্ব দিবো। এ বিষয়ে কোন ধরণের শৈথল্য বা কার্পণ্য থাকবে না। কিন্তু আমাদের এই খেলোয়াড়দের বাছাই করতে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন বিভাগ থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করছি। সেখান থেকে বাছাই করে আমাদের পরবর্তী কাজ শুরু করবো। ভিডিও ফুটেজ পাঠানোর জন্য আমরা তাদেরকে বলেছি। আমরা ৭ থেকে ১৭ জানুয়ারির মধ্যেই ভিডিও ফুটেজগুলো সংগ্রহ করবো এবং এই জায়গা থেকে আমাদের বাছাই প্রক্রিয়াটা শুরু করবো।’