ফুলটস, ফুলটস, ফুলটস। বাজে বোলিং ফরচুন বরিশালের ভাগ্য পরিবর্তনের পথে প্রধান অন্তরায়। সাত ম্যাচের চারটিতে হার। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ডেথ ওভার বোলিং। ১৬-২০ ওভারে দেদারছে রান বিলিয়ে দিচ্ছেন ফরচুন বরিশালের বোলাররা। সে সময়টায় রান আটকে রাখাটা ভীষণ প্রয়োজন। আর সেই প্রয়োজনের সময় কাজে আসে ইয়োর্কার।
ডেভ হোয়াটমোর ফরচুন বরিশালের পেসারদের সেই তালিমই দিয়েছেন মিরপুর একাডেমি মাঠে। খালেদ আহমেদ আর পাকিস্তানের আকিফ জাভেদ ছিলেন সেই বিশেষ অনুশীলনে। একাডেমি মাঠের আরেক প্রান্তে দলের বাকিরা নিয়মিত নেট অনুশীলনে ব্যস্ত। তবে সেন্টার উইকেটে এদিন স্থান পেল বিশেষ ইয়োর্কার ক্লাস।
সেই ক্লাসে পাকিস্তানের বা-হাতি পেসার আকিফের চাইতে বেশ ভালই করেছেন বাংলাদেশী খালেদ আহমেদ। তাইতো হোয়াটমোর যেন খালেদকে বললেন আকিফকে একটু বুঝিয়ে দিতে। খালেদও বেশ ভাল ছাত্রর মতই নিজের ভাল করবার টেকনিক বলে দিলেন আকিফকে। ঠিক এর কিছুক্ষণ পরেই আকিফের বল একেবারে ইয়োর্কার লেন্থের রাখা স্ট্যাম্পে গিয়ে আঘাত করে।
যেন খালেদের কথা মাথায় গেঁথে নিয়েছিলেন তিনি। সেটা অবশ্য প্রয়োজন, ফরচুন বরিশালের জন্যেই খালেদ, আকিফদের ঠিকঠাক ইয়োর্কার বল করা প্রয়োজন। কেননা ইনিংসের শেষ দিকে প্রচুর রান খরচা করেছে বরিশালের বোলাররা। এখন অবধি ফরচুন বরিশাল খেলেছে সাত ম্যাচ। ১৬-১৭ তম ওভারের মধ্যে অন্তত ৩০ এর বেশি রান দেওয়া সব গুলো ম্যাচেই হেরেছে ফরচুন বরিশাল।
সেটা আগে বোলিং করে হোক কিংবা পরে। এই সাত ম্যাচে ডেথওভারে স্রেফ ১১টি উইকেট শিকার করতে পেরেছে বরিশালের বোলাররা। বিপরীতে ২৯৪ রান দিয়েছেন খালেদরা। সেখানেই আসলে অধিকাংশ সময়ে ম্যাচের পার্থক্য সৃষ্টি হচ্ছে। যদিও স্লগ ওভারে ব্যাটাররা ব্যাট চালাবেন। প্রচুর রান হবে, সেটাই অবধারিত। তবে বোলারদেরও দায়িত্ব রান তুলতে মরিয়া ব্যাটারদের প্যাভিলিয়নে ফেরার পথ দেখানো।
অনুশীলনে তাই একের পর এক ইয়োর্কার বল করবার প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন খালেদ আহমেদ, আকিফ জাভেদ। কখনো সফল হয়েছে। কখনো আবার জুসি ফুলটস হিসেবেই সমাপ্তি ঘটেছে এক একটি ডেলিভারির। তবুও তো অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। অন্তত এই দুইজন বোলারই হতে চলেছে বরিশালের পরবর্তী ম্যাচগুলোর ডেথওভার বোলার তা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা থাকে না।
বরিশালের সময় একেবারে ফুরিয়ে যায়নি। এখনও প্লে-অফে খেলার সুযোগ হাতছানি দিয়ে ডাকছে। এমন পরিস্থিতিতে ফরচুন বরিশালের বোলারদের দায়িত্বটাও বেড়ে যায় বহুগুণে। ঠিকঠাক লাইন-লেন্থে করা বল রানের চাকা যেমন আটকে রাখবে, তেমনি উইকেট প্রাপ্তিতেও সহয়তা করবে। পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সঠিকভাবে হলে ফরচুন বরিশালের ভাগ্যে সফলতা নিশ্চয়ই ধরা দেবে।