ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ( আইপিএল ) এবারের আসর ইতিমধ্যেই বেশ সোরগোল ফেলে দিয়েছে। এই আসরের সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে প্রতিদ্বন্দীতাপূর্ণ ম্যাচ। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই জমজমাট লড়াই হয় দল গুলোর মধ্যে। এই তুমুল প্রতিযোগিতায় যদি দলের কোনো ক্রিকেটার ইনজুরি বা অন্য কোনো কারণে খেলতে না পারেন সেটা নিশ্চই ভীষণ দু:খজনক হবে।
যদিও ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলো সাথেসাথেই ওইরকম বা কাছাকাছি মানের বদলি ক্রিকেটার নিয়ে আসে। তবে বেশিরভাগ সময়েই তাঁরা প্রথম জনের মত কার্যকর হতে পারেন না। তবে আইপিএলে এমন কিছু উদাহরণ ও আছে যারা কারো বদলি হিসাবে দলে এসে নিজেদের দলের জন্য রীতিমত গেম চেঞ্জারে পরিণত করেছেন। আসর শেষে তাঁরা হয়ে উঠেছেন দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
- জেমস প্যাটিনসন (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স)
গতবছর আইপিএলে শেষ মুহুর্তে লাসিথ মালিঙ্গার বদলি হিসেবে জেমস প্যাটিনসনকে দলে ভিড়ায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলে লাসিথ মালিঙ্গা সফলতম পেসারদের একজন। তাই কারো পক্ষে মালিঙ্গার সার্ভিস দেয়া সহজ কথা নয়। তবে প্যাটিনসন মালিঙ্গার পরিবর্তে খেলতে এসে বেশ ভালোই পারফর্ম করেছিলেন। ১০ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে বুমরাহ ও বোল্টকে অসাধারণ সঙ্গ দিয়েছিলেন তিনি।
- ওয়াশিংটন সুন্দর ( রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্ট )
২০১৭ সালে ভারতের অন্যতম সেরা স্পিনার রবিচন্দন অশ্বিনের বদলে পুনেতে আসেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তামিল নাড়ুর এই তরুণ অফ স্পিনার অসাধারণ বল করেছিলেন পুনের হয়ে। বিশেষ করে পাওয়ার প্লেতে অসাধারণ বল করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন এই ক্রিকেটার। ওই আসরে তাঁর ইকোনমি রেট ছিল মাত্র ৬.১৬। তাছাড়া কোয়ালিফায়ার ম্যাচে তিন উইকেট নিয়ে পুনেকে ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন এই স্পিনার। সব মিলিয়ে শ্বিনের বদলি হিসেবে খেলতে এসে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন তিনি ।
- এনরিখ নরকে ( দিল্লী ক্যাপিটালস )
ক্রিস ওকস দিল্লি ক্যাপিটালস এর হয়ে খেলার কথা থাকলেও শেষ মুহুর্তে আইপিএল খেলননি তিনি। ফলে এনরিখ নরকেকে ওকসের বদলে দলে আনে দিল্লী। প্রথম আইপিএল খেলতে এসেই অসাধারণ পারফরম করেন তিনি। সেবার ১৩ ম্যাচে মোট ১৯ নিয়েছিলেন এই পেসার। ক্যাগিসো রাবাদার সাথে অসাধারণ বোলিং জুটি গড়েছিলেন তিনি। ফলে ক্রিস ওয়াকসের না থাকা দিল্লির জন্য যেনো আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল।
- ইমরান তাহির ( রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্ট )
২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার মিশেল মার্শ আইপিএল খেলতে না পারায় ইমরান তাহিরকে দলে ভিড়ায় রাইজিং পুনে। বিশ্বের সেরা লেগ স্পিনার সেবারের আইপিএলে ছিলেন অবিক্রিত। ফলে সেই সুযোগ কাজে লাগায় পুনে এবং অসাধারণ ভাবে তাঁর প্রতিদান দেন ইমরান তাহির। সেবছর ১২ ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়ে পুনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন তিনি। তাঁর ইকোনমি রেট ছিল মাত্র ৭.৮৫।
- ক্রিস গেইল ( রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু )
দ্য ইউনিভার্স বস ২০১১ সালের আইপিএল নিলামে ছিলেন অবিক্রিত। দীর্ক নানেস এর বদলে ক্রিস গেইলকে দলে ভিড়ায় ব্যাঙ্গালুরু। তাঁর দুইদিন পরেই ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন তিনি। সেবছর ১২ ম্যাচে গেইল করেন ৬০৮ রান। তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ৬৭.৫৬। তিনি ছিলেন সেই বছরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এরপর শুধু ব্যাঙ্গালুরু কেন, পুরো আইপিএলেরই হট কেক হিয়ে যান ইউনিভার্স বস।