ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব! ওমান ক্রিকেটের জন্য একটু বিশেষ কিছুই। বিশ্বকাপের হোস্ট হতে পারাটাও যেনোতেনো কিছু তো নয়। আর হোস্ট হিসেবে নিজের পারফরম্যান্সটা শীর্ষে না রাখতে পারলেও যে লজ্জায় পড়তে হবে। কিন্তু অধিনায়ক জিশান মাকসুদ প্রথম ম্যাচেই বুঝিয়ে দিলেন তার দল যে আটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছিলেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই পাপুয়া নিউগিনিকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে বেশ ভালো শুরু করেছে ওমান। ঘরের মাটিতে বেশ দাপট দেখিয়ে পাপুয়া নিউগিনিকে একপ্রকার উড়িয়ে দিয়েছে দলটি।
টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ে নেমে পাপুয়া নিউগিনির দুই ওপেনারকে শূন্য রানে ফিরিয়ে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে ওমান। এরপর আসাদ ভালা ও চার্লস আমিনির ৬০ বলে ৮১ রানের জুটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় ওমানের জন্য। আমিনি ফিরলেও ভালা তুলে নেন ফিফটি। এরপর দলীয় ১০২ রানে ভালা ফিরলে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে। এরপরই হটাৎ দমকা হাওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটিং লাইনআপ।
১৫ ওভার শেষে রান তখন ৪ উইকেটে ১১২। ১৬ তম ওভারে বল হাতে এলেন অধিনায়ক জিশান মাকসুদ। আর ওই ওভারেই ম্যাজিকেল বোলিংয়ে পালটে দিলেন ম্যাচের চিত্র। শেষ ৫ ওভারে ভালো ফিনিশিং দিয়ে ভালো স্কোরের মত্তে থাকা পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেন জিশান। ১৬ তম ওভারে শিকার করেন তিন উইকেট! প্রথম ওভারে দিয়েছিলেন ১১ রান। এরপর দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ১ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট।
১১২ রানে ৪ উইকেট থেকে জিশানের স্পিন জাদুতে ১১৩ রানেই পাপুয়া নিউগিনির সাত উইকেট নেই! নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে শিকার করেন আরো এক উইকেট। ১ ওভারে ১১ রান দেওয়া জিশান পরের ৩ ওভারে ৯ রান দিয়ে শিকার করেন ৪ উইকেট!
৪ ওভারের স্পেলে ২০ রানে ৪ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার পুরষ্কারটাও জেতেন ওমান অধিনায়ক। প্রথম ম্যাচেই দলের হয়ে সেরাটা দিয়ে বনে গেলেন ম্যাচসেরা। ব্যাটসম্যানদের দাপটে বড় জয় পেলেও জিশানের স্পেলেই যে পাপুয়া নিউগিনির ইনিংসের চিত্র পালটে যায় সেটা নিয়ে সংশয় থাকার কথা নয়।
বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে ওমানের প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি, বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড। নিজেদের প্রথম ম্যাচ জয়ে বেশ উজ্জীবিত ওমান। পরের ম্যাচে জিশানের দল মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের। শক্তিমত্তার বিবেচনায় গ্রুপের সবচেয়ে সেরা দল বাংলাদেশ। তবে প্রথম ম্যাচে নিজের সহ দলের পারফরম্যান্স বাংলাদেশের বিপক্ষে সেরাটা দিতে আত্মবিশ্বাস যোগাবে জিশান বাহিনীকে।