টি-টোয়েন্টির সেরা শিকারি সাকিব

শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গাকে পিছনে ফেলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডারের টি-টোয়েন্টিতে উইকেট সংখ্যা এখন ১০৮ টি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মালিঙ্গার উইকেট ১০৭ টি। এই দু'জন ছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একশো উইকেট নেই আর কোন বোলারের।

শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গাকে পিছনে ফেলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডারের টি-টোয়েন্টিতে উইকেট সংখ্যা এখন ১০৮ টি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মালিঙ্গার উইকেট ১০৭ টি। এই দু’জন ছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একশো উইকেট নেই আর কোন বোলারের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন সাকিব।

আজ উইকেট শিকারির তালিকায় শীর্ষে ওঠার সাথে আরো একটি দারুণ রেকর্ড গড়েছেন সাকিব। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ হাজার রান ও ৬০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এই অলরাউন্ডার। ১২ হাজার রানের ক্লাবে অনেক আগেই প্রবেশ করেছিলেন সাকিব। আজ ধরেছেন ৬০০তম শিকারও।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে মালিঙ্গাকে পিছনে ফেলতে ও ৬০০ উইকেট স্পর্শ করতে সাকিবের প্রয়োজন ছিলো দুটি উইকেট। বিশ্বকাপ শুরুর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের উইকেট ছিল ৫৯৮ টি এবং টি-টোয়েন্টিতে উইকেট ছিল ১০৬ টি। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই দুই উইকেট শিকার করে মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব।

ওয়ানডে ও টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি আরেক শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরণ। টেস্টে এই স্পিনারের শিকার ৮০০ উইকেট এবং ওয়ানডেতে ৫৩৪ উইকেট। তিন ফরম্যাটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় এখন মুরালিধরণের সাথে সাকিবের নামটাও উচ্চারিত হবে।

দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৮৯ ম্যাচে ৬.৭৩ ইকোনোমিতে ২০.৩৮ গড়ে ১০৮ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। আর ৮৯ ম্যাচে ১৭৬৩ রান এসেছে এই অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে। টেস্টে ৫৮ ম্যাচে সাকিব শিকার করেছেন ২১৫ উইকেট। এই ফরম্যাটে ৫৮ ম্যাচে ৩৯.৩৩ গড়ে সাকিব করেছেন ৩৯৩৩ রান। আর ওয়ানডেতে ২১৫ ম্যাচে সাকিবের শিকার ২৭৭ উইকেট। ব্যাট হাতে ওয়ানডেতে করেছেন ৩৭.৭১ গড়ে ও ৮২.১৪ স্টাইকরেটে ৬৬০০ রান।

সাকিব ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চাশ উইকেট রয়েছে শুধুমাত্র মুস্তাফিজুর রহমানের। মাত্র ছয় বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৫২ টি-টোয়েন্টি খেলে এই পেসার শিকার করেছেন ৭৬ টি উইকেট। এছাড়া স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের রয়েছে ৩৪ টি-টোয়েন্টিতে ৪৪ উইকেট ও পেসার আল আমিন হোসেনের রয়েছে ৩১ ম্যাচে ৪৩ উইকেট। এর পরের অবস্থানে থাকা মাশরাফি বিন মর্তুজার শিকার ৫৪ ম্যাচে ৪২ উইকেট।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাকিব ও মালিঙ্গার পর উইকেট শিকারির তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি। তাঁর শিকার ৮৩ ম্যাচে ৯৯ উইকেট। আর ৯৯ ম্যাচে ৯৮ উইকেট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি এবং ৯৫ উইকেট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...