ছয় ঘন্টা আগেই জানতে পেরেছেন তিনি নেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে। একটা হতাশা ঘিরে ধরেছিল নিশ্চয়ই। ঢাকা ক্যাপিটালসের জার্সি গায়ে তবুও লিটন দাস মাঠে নামলেন। ব্যাটের প্রতিটা আঘাতে যেন হতাশাকে বাউন্ডারির ওপারে নিয়ে ফেললেন। যেই আগ্রাসন আর রান খরা তাকে ছিটকে দিয়েছে জাতীয় দল থেকে, সে সবের বর্ষণ হল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
অনেকদিন ধরেই অফ ফর্মের গ্যারাকলে আটক লিটন দাস। বিশেষ করে ওয়ানডে ফরম্যাটে। গেল বছর পাঁচ ওয়ানডে খেলে মাত্র ছয় রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। তিনটি ম্যাচে আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। এমন নিদারুণ অফ ফর্মের খেসারত তাকে দিতে হল অবশেষে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাকে।
লিটন হয়ত হতাশ হয়েছে। নিজের উপর নিশ্চয়ই তার রাগ হয়েছে। তবুও পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এমন উত্থান-পতন তো নিত্যদিনের ঘটনা। তার প্রতিভা আর মেধা সম্পর্কে তো কারও কখনো অভিযোগ ছিল না। কিন্তু ধারাবাহিকতার বড্ড অভাব। এমনকি গেল বছরটা তো বেজায় বাজে কেটেছে ডানহাতি এই ব্যাটারের।
স্বাভাবিকভাবেই তাকে দল থেকে বাধ্য হয়ে বাদ দিয়েছে নির্বাচক প্যানেল। লিটন হয়ত মেনে নিয়েছেন নিজের নিয়তি। মেনে নিয়ে ক্ষান্ত হওয়ার ছেলে নিশ্চয়ই লিটন নন। তাই তো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) থেকেই প্রত্যাবর্তনের যাত্রাটা শুরু করতে চাইলেন।
দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি। প্রায় ২০০ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে তিনি তুলে নিয়েছেন নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। আহত বাঘ হয়ে ৪৪ রানে পৌঁছে যান মাইলফলকে। লিটন কি এবার পাশার দানটা পাল্টে দিলেন না? এমন একটা ইনিংসের পরও তাঁকে ছাড়াই আইসিসি ইভেন্ট খেলবে বাংলাদেশ?
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আসছে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোনো কারণ না দেখিয়েই খেলোয়াড় পরিবর্তন করার সুযোগ আছে। ফলে, চলতি বিপিএলের পুরোটা সময়ই নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাচ্ছেন। নির্বাচক প্যানেলের নজরটাও নিশ্চয়ই লিটন দাসের ওপরই আছে।
লিটন বলেন, ‘নির্বাচকরা মনে করেছেন, এই মুহূর্তে আমি দলে ফিট হচ্ছি না, তাই নাই। যদি তারা আবার আমার খেলা দেখে মনে করেন যে, আমি ফিট হওয়ার মতো, তাহলে হয়তো তারা কামব্যাক করাতে পারে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ তাদের কল। আমার ম্যাচ ফোকাস এখন সম্পূর্ণ বিপিএল নিয়ে। চেষ্টা করব কীভাবে ভালো করা যায়।’