‘অভূতপূর্ব’ নিউজিল্যান্ড সফরের আশা বাংলাদেশের

দেশের মাটিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স আশা জাগানিয়া হলেও বিদেশের মাটিতে ঠিক তার উল্টো। সেটা আরো স্পষ্ঠ হয়ে ওঠে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কোচ মনে করেন পরের বিশ্বকাপের শিরোপা প্রত্যাশা করলে এরকম সিরিজ গুলোতে ভালো করার কোন বিকল্প নেই। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাই এবার ভালো করতে আশাবাদী ডোমিঙ্গো।

দেশের মাটিতে ম্যাচ জয়ের জন্য স্পিনারদের নিয়েই পরিকল্পনা সাজায় বাংলাদেশ। কিন্তু দেশের বাইরে খেলতে গেলে, বা আরো নির্দিষ্ট করে বললে উপমহাদেশের বাইরে খেলা হলে সেই ভাবনাতে অনেক পরিবর্তন করে টিম ম্যানেজমেন্ট। দেশের বাইরের ম্যাচ গুলোতে তখন প্রাধান্য দেওয়া হয় পেসারদের।

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এখন নিউজিল্যান্ড সফরে রয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের উইকেট গুলোতে অতিরিক্ত বাউন্স ও প্রচন্ড বাতাসের কারণে স্পিনারদের থেকে পেসাররা সাধারণত বেশি সুবিধা পেয়ে থাকে। তাই পেস বান্ধব উইকেটের কথা মাথায় রেখে যথারীত সাত পেসার নিয়ে নিউজিল্যান্ডে গেছে সফরকারীরা।

এক মাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে পতন হওয়া ছয় উইকেটের সব গুলো শিকার করে এমন সিদ্বান্তের যৌক্তিকতাও প্রমাণ করেছেন পেসাররা। তাই পেসারদের নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানিয়েছেন বাংলাদেশের নতুন পেসারদের নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা আগে কখনো না খেলার কারণে বাড়তি সুবিধা পাবেন তাঁরা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কয়েকজন নতুন ফাস্ট বোলার উঠে এসেছে। যাদের নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা আগে কখনো দেখেনি। আমি মনে করি হয়তো তাঁদের ঐ ভাবে খেলার প্রত্যাশাও তাঁরা করছে না, আমরা সুবিধা পাবো। হাসান মাহমুদ, তাসকিনরা এই মূহুর্তে দারুণ বল করছে। আমি সত্যিই আমাদের পেস বোলারদের নিয়ে রোমাঞ্চিত।’

কনুইয়ের চোটের কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াডে নেই কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। আর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে প্রথম ওয়ানডেতে খেলতে পারবেন না অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রস টেলর। এই দুজনের না থাকা বাংলাদেশের জন্য ভালো খবর হলেও ডোমিঙ্গো মনে করেন তাদের বিকল্প যারা আছে তাঁরাও মুখিয়ে থাকবে নিজেদের প্রমাণ করার জন্য।

ডোমিঙ্গো বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট অনেকদিন ধরেই লক্ষ্য করি। যথেষ্ট ভালো ক্রিকেটার রয়েছে। তারপরও ওদের বিকল্প (উইলিয়ামসন-টেলর) হয়ে ওঠা কঠিন। দুজনের না থাকা অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো খবর। অন্যদিকে নতুন যারা খেলবে, তারাও নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিতে যথেষ্ট মুখিয়ে থাকবে।’

দেশের মাটিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স আশা জাগানিয়া হলেও বিদেশের মাটিতে ঠিক তার উল্টো। সেটা আরো স্পষ্ঠ হয়ে ওঠে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কোচ মনে করেন পরের বিশ্বকাপের শিরোপা প্রত্যাশা করলে এরকম সিরিজ গুলোতে ভালো করার কোন বিকল্প নেই। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাই এবার ভালো করতে আশাবাদী ডমিঙ্গো।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের বাকি তিন বছরেরও কম আর নিউজিল্যান্ড অন্যতম ফেভারিটদের মধ্যেই বিবেচিত হবে। আমরা যদি নিজেদের ২০২৩ বিশ্বকাপের দাবিদার হিসেবে ভাবতে বা দেখতে চাই, বড় দলগুলোর বিপক্ষে এই ধরনের (নিউজিল্যান্ড সফর) সিরিজে খুব ভাল পারফর্ম করতে হবে। সেজন্যই আমরা নিউজিল্যান্ডে এমন কিছু করতে চাই যা কখনো, কোন বাংলাদেশি দল করতে পারেনি।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...