তিন দিনেই শেষ প্রতিরোধ
ক্রাইস্টচার্চে তৃতীয় দিনেই শেষ দ্বিতীয় টেস্ট। নিউজিল্যান্ডের সামনে দুই ইনিংসেই ভরাডুবিতে ইনিংস ও ১১৭ রানের বড় পরাজয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। টেলরের বিদায়ী টেস্টে এক ইনিংস ও ১১৭ রানের জয়ে সিরিজ ১-১ সমতা করেছে নিউজিল্যান্ড।
মাউন্ট মঙ্গানুইতে ইতিহাস করে জিতেছিলো বাংলাদেশ। সেই ধারাটা ধরে রাখা গেলো না। ক্রাইস্টচার্চে এসে ইনিংস ব্যবধানে হারলো সফরকারীরা। তারপরও এই প্রথম নিউজিল্যান্ড থেকে কোনো ম্যাচ জয় এবং সিরিজ ড্র নিয়ে ফিরছে বাংলাদেশ দল।
ক্রাইস্টচার্চে তৃতীয় দিনেই শেষ দ্বিতীয় টেস্ট। নিউজিল্যান্ডের সামনে দুই ইনিংসেই ভরাডুবিতে ইনিংস ও ১১৭ রানের বড় পরাজয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। টেলরের বিদায়ী টেস্টে এক ইনিংস ও ১১৭ রানের জয়ে সিরিজ ১-১ সমতা করেছে নিউজিল্যান্ড।
ফলো-অনে পড়ে তৃতীয় দিনে ৩৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে প্রথম ইনিংসে আবারো ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারীরা। প্রথম ইনিংসের মতো শুরুতেই বিপর্যয় না হলেও এই ইনিংসেও ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার। দলীয় ২৭ রানেই জেমিসনের শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ২১ রানে ফিরেন সাদমান। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়লে শান্ত ফিরেন ব্যক্তিগত ২৯ রানে। এরপর অভিষিক্ত নাইম শেখ ২৪ ও অধিনায়ক মুমিনুল হক ৩৭ রানে ফিরলে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১২৩ রান। আগের ইনিংসে ফিফটি পাওয়া ইয়াসির আলি ফিরেন মাত্র ২ রানে! ১২৮ রানে ৫ উইকেটে হারিয়ে তখন ম্যাচ থেকে পুরোপুরো ছিটকে গেছে বাংলাদেশ।
ষষ্ঠ উইকেটে নুরুল হাসান সোহান ও লিটন দাশে ১০১ রানের জুটি খানিকটা ইঙ্গিত দেয় ঘুরে দাঁড়ানোর। লিটন দাস তুলে নেন ফিফটি। এরপর ২২৯ রানে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে ড্যারেল মিশেলকে উইকেট দিয়ে ফিরেন সোহান। তবে আরেকপ্রান্তে লিটন দাস তুলে নেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। এরপর মেহেদী মিরাজ দ্রুত ফিরলে দলীয় ২৬৯ রানে ব্যক্তিগত ১০২ রানে জেমিসনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন লিটন। ২৬৯ রানেই তখন ৮ উইকেট নেই।
ম্যাচে বাংলাদেশের পরাজয় তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। শেষ উইকেটে এবাদত হোসেনকে রস টেলর শিকার করলে ২৭৮ রানেই গুড়িয়ে যায় বাংলাদেশ। ইনিংস ও ১১৭ রানের বিশাল জয়ে ১-১ এ সমতা আনে ব্ল্যাকক্যাপসরা।
এর আগ সিরিজের প্রথম টেস্টে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটেব হারিয়ে প্রথম জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টসঃ বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ড (১ম ইনিংস) – ৫২১/৬ (ডিক্লে) (৯০ ওভার); ল্যাথাম ২৫২(৩৭৩), কনওয়ে ১০৯(১৬৬)*, ইয়ঙ ৫৪(১১৪); শরিফুল ২৮-৯-৭৯-২, এবাদত ৩০-৩-১৪৩-২।
বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) – ১২৬/১০ (৪১.২ ওভার); ইয়াসির ৫৫(৯৫), সোহান ৪১(৬২); বোল্ট ১৩.২-৩-৪৩-৫, সাউদি ১২-৪-২৮-৩, জেমিসন ৯-৩-৩২-২।
বাংলাদেশ (২য় ইনিংস) – ২৭৮/১০ (ফলো-অন) (৭৯.৩ ওভার); লিটন ১০২(১১৪), মুমিনুল ৩৭(৬৩), সোহান ৩৬(৫৪); জেমিসন ১৮-৪-৮২-৪, ওয়াগনার ২২-৭-৭৭-৩।
ফলাফলঃ নিউজিল্যান্ড ইনিংস ও ১১৭ রানে জয়ী।