স্বপ্ন দেখাচ্ছেন অলরাউন্ডাররা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বড় কোন সাফল্য নেই বাংলাদেশের। শিরোপা জেতা তো দূরের কথা অনেক আসর শেষ হয়েছে কোন জয় ছাড়াই। তবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে দারুণ আশাবাদী মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশের অধিনায়ককে এবারের বিশ্বকাপে ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তাঁর দলের অলরাউন্ডার ও বোলাররা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বড় কোন সাফল্য নেই বাংলাদেশের। শিরোপা জেতা তো দূরের কথা অনেক আসর শেষ হয়েছে কোন জয় ছাড়াই। তবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে দারুণ আশাবাদী মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশের অধিনায়ককে এবারের বিশ্বকাপে ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তাঁর দলের অলরাউন্ডার ও বোলাররা।

গত দুই সিরিজে জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের যে স্কোয়াড খেলেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও প্রায় একই স্কোয়াড খেলবে। এই তিন সিরিজে খেলা ক্রিকেটারদের নিয়েই বিশ্বকাপের দল গঠন করবে বাংলাদেশ।
বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলে সাকিব আল হাসান ছাড়াও আরো চার পাঁচ জন অলরাউন্ডার রয়েছেন।

ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও বেশ কার্যকর সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শামিম হোসেন পাটোয়ারি, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। আর বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতে ঝড় তোলার সামর্থ্য রয়েছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শেখ মেহেদী হাসানের। বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও থাকবেন প্রায় সবাই।

আগের দুই সিরিজ না খেললেও দলে ফিরেছেন ব্যাটিং স্তম্ভ অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। আর চোট কাটিয়ে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন তামিম ইকবাল। মুস্তাফিজুর রহমানও ফিরে এসেছেন নিজের চেনা ছন্দে। এছাড়া দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম।

আর নিজেদের বড় মঞ্চে প্রমাণ করতে মুখিয়ে আছেন নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও শামিম হোসেন পাটোয়ারির মতো তরুণেরা। তাই সব কিছু মিলিয়ে দলটাকে বেশ ভারসাম্য মনে হচ্ছে মাহমুদউল্লাহর কাছে।

বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের শক্তির জায়গা হলো আমাদের অলরাউন্ডার বিভাগ ও বোলিং বিভাগ। আমাদের ব্যাটিং বিভাগও খুব ভালো। আমাদের দলটা ভারসাম্য হয়েছে। আমরা পাঁচ ছয় জন অলরাউন্ডার পেয়েছি যারা বোলিং ব্যাটিং দুটোই করতে পারে।’

মাহমুদউল্লাহ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানছেন নি:সন্দেহে সাকিব আল হাসানকে। তিনি বলেন, ‘সাকিব বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার। সে আমাদের দলের সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়। মুশফিক ও মুস্তাফিজও খুব গুরুত্বপূর্ণ। দলে আফিফ, শামিম এবং সোহানের মতো কয়েক জন তরুণ নিজেদের জন্য এবং দলের জন্য ভাল করতে মুখিয়ে আছে।’

দেশের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে পুরো সিরিজ জুড়েই স্পিনারদের সাথে দাপট দেখিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। বিশ্বকাপের উইকেট এমন মন্থর ও টার্নিং না হলেও সুবিধা পাবেন স্পিনাররা। নিজেদের চেনা ছন্দে দেখা যেতে পারে পেসারদেরও। তাই বিশ্বকাপে বোলিং বিভাগ নিয়েও আশাবাদী মাহমুদউল্লাহ।

বাংলাদেশের অধিনায়ক মনে করেন কয়েকটা ম্যাচে স্পিনাররা একটু ভালো করলেই ভালো করবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘আমাদের পেস বোলাররা সত্যিই ভালো করছে। এই মুহূর্তে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স তাদের। স্পিনাররাও আমাদের শক্তি। যদি স্পিনাররা কয়েকটি ম্যাচ ভালো করতে পারে, আশা করি আমরা ভালো কিছু করতে পারব।’

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে খেলতে হলে প্রথম রাউন্ডের বাঁধা পার হতে হবে বাংলাদেশকে। প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি, স্কটল্যান্ড ও স্বাগতিক ওমান। এই তিন দল তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ হলেও মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন বিশ্বকাপের সব ম্যাচই তাঁর কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ।

তাই ছন্দ ধরে রাখতে দলের প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে চান মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘যে কোন বিশ্বকাপে সব ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম বল থেকেই ভালো খেলতে হবে। সঠিক মানসিকতা ধরে রাখতে হবে এবং দলের প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে হবে। তাহলে প্রতিটা ম্যাচই জেতা সম্ভব।’

জানিয়ে রাখা ভালো, চলতি বছরের অক্টোবর মাসের ১৭ তারিখ থেকে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। এবারের আসর অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে। মূল পর্বে ১২ দলের লড়াই শেষে বিশ্বকাপ শেষ হবে ১৪ নভেম্বর।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...