চুক্তি নবায়নের আলোচনা চলছিলো বেশ কিছুদিন ধরেই। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যাটে-বলে হলো না। কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড দানিয়েল কলিন্দ্রেসকে অগত্যা বিদায়ই জানাতে হলো প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসকে।
২০১৮ বিশ্বকাপের কিছু পরেই কোস্টারিকার হয়ে বিশ্বকাপ খেলে আসা কলিন্দ্রেসকে দলে টেনে চমক দেখিয়েছিলো বসুন্ধরা। এরপরের গল্পটা কলিন্দ্রেসের আসা-দেখা-জয় করার। দেড় মৌসুমে সব ধরণের প্রতিযোগিতায় করেছেন ২৬ গোল, করিয়েছেন আরও ১৪ গোল। নবাগত বসুন্ধরাকে করেছেন বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন। এক মৌসুমের ব্যবধানে জিতেছেন ঘরোয়া সবকটি শিরোপাই।
দলের প্রয়োজনে খেলেছেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড থেকে সেন্টার ফরোয়ার্ড পর্যন্ত সবকটি জায়গাতেই।
তবে সব ভালোরই একটা শেষ থাকে, কলিন্দ্রেসেরও হলো। গেলো মে মাসেই চুক্তি শেষ হয়ে যায় তার। চলছিলো নতুন চুক্তির আলোচনা। বসুন্ধরা পক্ষের মত ছিলো স্বল্পমেয়াদী সমাধানের আর কলিন্দ্রেস চাচ্ছিলেন এক বছরের চুক্তি। দু’পক্ষ সমঝোতায় পৌছুতে না পারায় শেষ দেখে ফেলে কলিন্দ্রেসের বাংলাদেশ অধ্যায়।
কলিন্দ্রেসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বসুন্ধরা তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, ‘এলেন, দেখলেন, জয় করলেন! বসুন্ধরা কিংসের সাথে ড্যানিয়েল কলিন্ড্রেস সোলেরার গল্পটাও ঠিক এমন। একটি নতুন দলে যোগ দিয়ে তিনি সম্ভব সব শিরোপাই জিতিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসকে। আমাদের ক্লাবের সেরা মুহুর্তগুলো তাঁর হাত ধরেই এসেছে। সেই সাথে তিনি তাঁর নাম লিখে দিয়েছেন বাংলাদেশের পেশাদার ফুটবল ইতিহাসেও।’
‘এই কোস্টারিকান ফুটবলারকে আর দেখা যাবে না কিংসের জার্সিতে। ‘২৬’ নম্বর জার্সিতে ফুটবল মাঠে আর হয়ত দেখা যাবে না তাঁর সেই দুই বাহু মেলে গোল উদযাপন। তবে বসুন্ধরা কিংসের প্রথম সুপারস্টারকে মনে রাখবে প্রতিটি কিংস ভক্ত এবং এদেশের প্রতিটি ফুটবলপ্রেমী।’
তবে দেশ ছাড়ার আগে গণমাধ্যমকে কলিন্দ্রেস জানান, বাংলাদেশ অধ্যায় তার স্মৃতির মনিকোঠায়ও ছাপ রাখবে আজীবন।