আক্রমণ করেই টিকে থাকতে চেয়েছিলেন ব্যাটাররা!

‘আমাদের ব্যাটিংটা আজকে ভালো হয়নি। তবে এই ম্যাচ বাচানো ‘আমাদের ব্যাটিংটা আজকে ভালো হয়নি। তবে এই ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব না এমন নয়। আগামীকাল সকালে সাকিব ভাই ও তাইজুল ভাই যদি একটা ভালো পার্টনারশিপ করতে পারে তাহলে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।‘

টানা দুইদিনের বৃষ্টির পর অবশেষে আবার মাঠে গড়ালো মিরপুর টেস্ট। টেস্টের দ্বিতীয় দিন খেলা হয়েছিল মাত্র ৬.২ ওভার। আর তৃতীয় দিনের বৃষ্টিতে মাঠেই নামতে পারেনি কেউ। তবে আজ মেঘলা আকাশ, কাভারে ঢাকা পিচে মোটামুটি স্বর্গীয় কন্ডিশনে বোলিং করতে নামেন বাংলাদেশের দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন।

দিনের শুরুতেই দুজনে মিলে দুটো উইকেটও নিয়েছেন। তবে এরপরই আবার ছন্নছাড়া, অসহায় চিত্র। মাত্র ৪ উইকেট হারিয়েই ৩০০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সাজিদ খানকে একেরপর এক উইকেট উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। কোথায় দিনের খেলা শেষ করে ম্যাচ বাচানোর চেষ্টা করবেন তা না, বরং সবাই যেনো ভুগছেন কী এক অজানা অস্থিরতায়।

মুশফিক, লিটনরা আক্রমণ করতে গিয়ে উল্টো উইকেট দিয়ে এসেছেন। ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট খেলতে নামা সাজিদ খান একাই তুলে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ফলে ৭৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়েই দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। এখন কাল সকালে ফলো অনে পড়ে ম্যাচ হারার সম্ভাবনাও তৈরি করে ফেলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। প্রায় আড়াইদিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পরেও বাংলাদেশের এমন অসহায় আত্মসমর্পন।

ম্যাচ বাঁচাতে এখন বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে সাকিব-তাইজুলের দিকে। তবে এই দুই স্পিনারের বোলিং না বরং ব্যাটিং এর দিকে তাকিয়ে আছেন শান্তরা। সংবাদ সম্মেলনে এসে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিংটা আজকে ভালো হয়নি। তবে এই ম্যাচ বাচানো সম্ভব না এমন নয়। আগামীকাল সকালে সাকিব ভাই ও তাইজুল ভাই যদি একটা ভালো পার্টনারশিপ করতে পারে তাহলে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।’

ওদিকে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে মোটামুটি সবাই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেছে। টেস্ট ক্রিকেটে কেউই তাঁদের ডিফেন্সের উপর ভরসা রাখতে পারেননি। মুশফিক, লিটন, মিরাজ সবাই আক্রমণাত্মক শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন। ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নেমেছে।

আদৌ বাংলাদেশের এমন কোন পরিকল্পনা ছিল কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরে শান্ত বলেন, ‘আসলে আমাদের এমন কোন পরিকল্পনা ছিল না। যে যেই শট ভালো খেলে সেটাই খেলার চেষ্টা করেছে। হয়তো আজকে এক্সিকিউট করতে পারিনি আমরা।’

শান্তরা উইকেট দিয়ে আসলেও পাকিস্তান একই উইকেটে খেলেছে স্বাচ্ছন্দে। তাঁদের ব্যাটসম্যানদের তেমন বড় কোন বাঁধার মুখে ফেলতে পারেনি বাংলাদেশের স্পিনাররা। একই উইকেটে দুই দলের ব্যাটসম্যানদের এমন ভিন্ন আচরণ কেনো এমন প্রশ্ন করা হলে শান্ত বলেন, ‘আসলে উইকেটটা একটু ডিফিকাল্ট। এখানে টিকে থাকতে হলে রান করতে থাকতে হবে। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করেছি। তবে কালকে আবার ব্যাটিং করার সুযোগ পেলে আমরা কাজে লাগানো চেষ্টা করবো।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...