তবুও শান্তই সবার ওপরে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতা খুঁজতে গেলে সবার আগে মোটা দাগে চোখে পড়বে ব্যাটিং পারফর্মেন্স। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে বাংলাদেশের ব্যাটাররা রানের দেখাই পাননি। ওপেনিং সংকটের কথা মাথায় রেখে দেশ ছেড়েছিল বাংলাদেশ। অথচ বিশ্বকাপের মঞ্চে সেই সংকট ছড়িয়ে পড়েছে মিডল অর্ডার কিংবা লোয়ার মিডল অর্ডারেও।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতা খুঁজতে গেলে সবার আগে মোটা দাগে চোখে পড়বে ব্যাটিং পারফর্মেন্স। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে বাংলাদেশের ব্যাটাররা রানের দেখাই পাননি। ওপেনিং সংকটের কথা মাথায় রেখে দেশ ছেড়েছিল বাংলাদেশ। অথচ বিশ্বকাপের মঞ্চে সেই সংকট ছড়িয়ে পড়েছে মিডল অর্ডার কিংবা লোয়ার মিডল অর্ডারেও।

সব মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচের কোনটিতেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ভাল পারফর্মেন্স করে দেখাতে পারেননি। তবুও ব্যক্তিগত ভাবে খেলা কয়েকটা ইনিংস দর্শকদের মন জয় করেছে। মন্দের ভাল হিসেবেও কয়েকজন রানের দেখা পেয়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে মাত্র দুইজন করতে পেরেছেন শতরান। সব মিলিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা পাঁচ ব্যাটারের তালিকা করেছে খেলা ৭১।

  • নাজমুল হোসেন শান্ত

বিশ্বকাপ দলে নাজমুল হোসেন শান্ত’র থাকা নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়েছিল। ওপেনার হিসেবে শান্তকে দলে নেয়ায় নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে নির্বাচকদের। তবে টিম ম্যানেজম্যান্ট ও কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন এই ওপেনার। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান স্কোরার।

বিশ্বকাপের পাঁচ ম্যাচেই বাংলাদেশের হয়ে ওপেন করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি অর্ধশতকের দেখাও পেয়েছেন। এছাড়া প্রায় প্রতি ম্যাচেই একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন। তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে এখনও কিছু প্রশ্ন থাকলেও এই বিশ্বকাপে তিনিই দলের সেরা ব্যাটার। পাঁচ ম্যাচ খেলে এই ব্যাটার করেছেন মোট ১৮০ রান। সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিংস এসেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

  • লিটন দাস

বিশ্বকাপের মত বড় মঞ্চে লিটনকে নিয়েই স্বপ্নটা সবচেয়ে বড় ছিল বাংলাদেশের। তাঁর ফর্মের কারণেই তাঁকে নিয়ে দলের এমন আশা। লিটন হয়েছেনও বিশ্বকাপে দলের দ্বিতীয় সেরা রান সংগ্রাহক। তবে লিটন কী বিশ্বকাপে আসলেই নিজের দ্যুতি ছড়াতে পেরেছেন।

বাংলাদেশের ব্যর্থ ব্যাটিং লাইন আপকে টপকে লিটন আছেন তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে। তবে পাঁচ ম্যাচ খেলে লিটনের রান সর্বসাকুল্যে ১২৭। শুধুমাত্র ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেই লিটন নিজের নামের মর্যাদা রাখতে পেরেছেন। ভারতের বিপক্ষে ওপেন করতে নেমে খেলেন ৬০ রানের ইনিংস। আর বাকি চার ম্যাচ মিলে করেছেন ৬৭ রান। বিশ্বকাপে তাঁর অর্ধশতক একটিই।

  • আফিফ হোসেন ধ্রুব

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাবার আগে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপের বড় স্তম্ভ ভাবা হচ্ছিল আফিফকে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে ধারাবাহিক ভাবেই পারফর্ম করে যাচ্ছিলেন আফিফ। তবে বিশ্বকাপের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকেই অফ ফর্মে এই ব্যাটার।

বিশ্বকাপের মঞ্চেও নিজের সেরাটা প্রমাণ করতে পারেননি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলেছেন সর্বোচ্চ  ৩৮ রানের ইনিংস। এছাড়া পুরো বিশ্বকাপে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৯৫ রান।

  • সৌম্য সরকার

প্রথমে ঘোষণা করা বিশ্বকাপ দলেই ছিলেন না সৌম্য সরকার। পরে সাব্বির রহমানের জায়গায় বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয় এই ওপেনারের। তবে বিশ্বকাপে চার ম্যাচ খেলেও সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি এই ওপেনার। পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২০ রানের ইনিংস এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে।

এছাড়া নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বল করে একটা উইকেটও পেয়েছেন তিনি। তবে ব্যাট হাতে চার ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র ৪৯ রান। তারপরও বিশ্বকাপে তিনি দলের চতুর্থ সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক।

  • সাকিব আল হাসান

দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতেই অভ্যস্ত সাকিব আল হাসান। এছাড়া বড় মঞ্চে সাকিবই বাংলাদেশের অন্যতম পারফর্মার থাকেন। তবে এবার চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। ব্যাট, বল কোন ডিপার্টমেন্টেই নিজের সেরাটা দিতে পারেননি সাকিব।

ব্যাট হাতে সাকিবের অবস্থাটা বেশ করুণই ছিল এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। পাঁচ ম্যাচ খেলে সাকিব করতে পেরেছেন মাত্র ৪৪ রান। তারমধ্যে সর্বোচ্চ ২২ রান করেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...