ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার আমন্ত্রন চান তামিম

তামিম এখন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়া থেকে কোনো সিরিজ না খেলানোর এ দীর্ঘসূত্রিতা হতাশই করে টাইগার কাপ্তানকে। কারণ সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশ এখন বেশ পরিণত দল। অথচ ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াদের নজরের আড়ালেই রয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ।

শেষবার বাংলাদেশ ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিল সেই ২০১০ সালে। এরপর ইংলিশদের মাটিতে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলার জন্য আর ডাক পড়েনি বাংলাদেশের। ২০০৮ সালের পর অস্ট্রেলিয়া থেকেও আসেনি কোনো সিরিজের আমন্ত্রণ।

অথচ শেষবার থ্রি লায়ন্সদের ডেরায় গিয়ে ভালই করেছিল বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজে কোনো ম্যাচে জয় আসেনি, তবে ওয়ানডে সিরিজে একটি ম্যাচে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ব্রিস্টলে ইতিহাস গড়েছিল টাইগাররা।

দলগতভাবে টেস্টে সেবার ব্যর্থ হলেও তামিম ছিলেন উজ্জ্বল। তামিমের ব্যাটিং নিয়ে প্রশংসা ঝরেছিল স্বয়ং ইংলিশ গণমাধ্যমে। লর্ডস টেস্টের পর ওল্ড ট্রাফোর্ডেও সেবার সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল।

সেই তামিম এখন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়া থেকে কোনো সিরিজের আমন্ত্রণের এ দীর্ঘসূত্রিতা বেশ হতাশ করে টাইগার কাপ্তানকে। কারণ সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশ এখন বেশ পরিণত দল। অথচ ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াদের নজরের আড়ালেই রয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ।

সম্প্রতি ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মিররকে সেই হতাশার কথাই জানিয়েছেন তামিম। এক সাক্ষাৎকারে ২০১০ সালের সে সফরের স্মৃতি টেনে তিনি বলেন, ‘২০১০, সে তো অনেকদিন আগের কথা। আমার দুর্দান্ত এক সিরিজ ছিল। ইংল্যান্ডের মাঠে সেঞ্চুরি করা এতো সহজ নয়। বিশেষ করে আমাদের মতো দলের জন্য, যারা সেখানে বেশি খেলার সুযোগই পায় না। তাই ইংল্যান্ডের মাটিতে সেই সিরিজটা আমার জন্য সবসময়ই বিশেষ কিছু।’

এরপর তামিম আক্ষেপ ঝেড়ে বলেন, ‘ইংল্যান্ডে ওটাই আমাদের শেষ সফর ছিল। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তাদের আরো কয়েকটা সিরিজের জন্য আমাদের আমন্ত্রণ করা উচিৎ ছিল। বাংলাদেশ এখন এমন দল, যারা ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে খেলার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকে। আমি জানিনা, কেন এটা হয়। ১৩ বছর হয়ে গেল। অথচ আমরা এক বারের জন্য ইংল্যান্ডে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার আমন্ত্রণ পেলাম না। এটা খুবই দুঃখজনক। বিশেষত, আমরা সাদা বলে ক্রিকেটে এখন বেশ ভাল খেলছি।’

২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। যদিও সেটি ছিল আইসিসি’র ইভেন্ট। আর সে ম্যাচে ইংলিশ সমর্থকদের সাথে টেক্কা দিয়েছিল বাংলাদেশি সমর্থকরাও।

আর সেই কথাই টেনে তামিম বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, ইংল্যান্ডে সিরিজ হলে আমরা ইংলিশ সমর্থকদের চেয়ে বেশি সমর্থন মাঠে দেখানোর সামর্থ্য রাখি। আমরা যদি সেখানে খেলার সুযোগ পাই, গ্যালারির কোনো অংশ ফাঁকা থাকবে না, যেমনটা ছিল ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচে।’

যদিও এমন আক্ষেপ ঝরিয়েই ক্ষান্ত থাকতে হচ্ছে তামিমকে। কারণ আইসিসি’র ফিউচার এফটিপি সূচি বলছে, আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়া দুইবার বাংলাদেশ সফরে আসলেও তাদের দেশে বাংলাদেশের জন্য কোনো সিরিজ বরাদ্দ নেই। অর্থাৎ অপেক্ষাটা এক দশক পেরিয়ে দুই দশকেও মোড় নিতে পারে। যার অর্থ হলো, লর্ডস, ওল্ড ট্রাফোর্ড মাতানো ওপেনারের আবারো ইংলিশ মর্ত্যে খেলার সম্ভবনা বেশ ক্ষীণই বলা চলে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...