পেসারদের নিয়ে গর্বিত বাংলাদেশ

দিনে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে এসে সিলেটে মঞ্চস্থ হলো সেই ভিন্নরকম ‘১০’ এর কীর্তি। ১০ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর আইরিশদের ১০ টা উইকেটই তুলে নিয়েছে হাসান, তাসকিন এবাদতরা।

বাংলাদেশ এর আগে কখনো ১০ উইকেটের জয় পায়নি। আবার একইভাবে, কোনো ম্যাচে প্রতিপক্ষের ১০ টা উইকেট তুলে নিতে পারেননি বাংলাদেশি পেসাররা। কিন্তু একই দিনে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে এসে সিলেটে মঞ্চস্থ হলো সেই ভিন্নরকম ‘১০’ এর কীর্তি। ১০ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর আইরিশদের ১০ টা উইকেটই তুলে নিয়েছে হাসান, তাসকিন-এবাদতরা।

এমন একটা পেস বোলিং লাইনআপ নিয়ে তাই গর্ব করতেই পারেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। করেছেনও তাই। সিরিজ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘অবিশ্বাস্য। পেসাররা যেভাবে বলা করেছে তা এক কথায় দুর্দান্ত। এখন আমি গর্ব করে বলতেই পারি, আমাদের একটা সলিড পেস অ্যাটাক আছে। আমরা আমাদের তরুণ ক্রিকেটারদের উপর ভরসা রেখেছি। তাঁরা এখন আমাদের আস্থার প্রতিদান দিচ্ছে।’

বাংলাদেশ এখন যে কোনো উইকেটেই খেলতে প্রস্তুত জানিয়ে তামিম আরো যুক্ত করে বলেন, ‘আমি বারবারই বলেছি, আমরা যে কোনো উইকেটে খেলতে প্রস্তুত। আমরা ভিন্ন কন্ডিশনেও ভাল করার ব্যাপারে আশাবাদী। যেভাবে সবাই পারফর্ম করছেন, তাতে এখান থেকে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূর যাওয়া সম্ভব।’

সিরিজের শেষ ম্যাচে এক হাসান মাহমুদের কাছেই যেন হেরেছে আইরিশরা। ওয়ানডে দলে অনিয়মিত হলেও বেশ কিছুদিন পর সুযোগ পেয়েই বল হাতে করেছেন বাজিমাত। ক্যারিয়ারে প্রথম বারের মতো পেয়েছেন ফাইফারের স্বাদ। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও গিয়েছে তাঁর হাতে। তবে নিজের এমন সাফল্যের পিছনে কৃতিত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডকে।

ম্যাচে সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে এ পেসার বলেন, ‘আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। ক্যারিয়ারে প্রথম বারের মতো ৫ উইকেট পেয়ে আমি রোমাঞ্চিত। উইকেট পেসারদের জন্য সহায়ক ছিল। পুরো ম্যাচেই আমি উপভোগ করেছি। আর আমাদের এমন সফলতার পিছনের নায়ক ডোনাল্ড। তাঁর কারণেই আমরা যারা পেসাররা রয়েছি, তারা দিনে দিনে উন্নতি করছি।’

সিরিজের শেষ ম্যাচে তাঁকে ব্যাট হাতে নামতেই হয়নি। উইকেটের পিছনে থেকে শুধু দোহানির ক্যাচটা নিয়েছেন। তবে আগের ম্যাচেই করেছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরিটি। এ ছাড়া সিরিজের প্রথম ম্যাচে খেলেছিলেন ২৬ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো এক ইনিংস। পুরো সিরিজে সর্বোচ্চ ১৪৪ রান আর ৬ টি ডিসমিশাল করা সেই মুশফিকের হাতেই উঠেছে সিরিজ সেরার পুরস্কার।

অথচ এই সিরিজের আগেই রান খরায় ভুগছিলেন মুশফিক। তাতে পাল্টে গিয়েছিল তাঁর ব্যাটিং অর্ডারও। কিন্তু ৬ নম্বরে নেমেই যেন ক্যারিয়ারে এক নতুন মোড় দিলেন মুশফিক। সিরিজ সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে বলেন, ‘আরো একটা সিরিজ জিতলাম আমরা। দারুণ সিরিজ। সবাই ভাল খেলেছে। টপ অর্ডার ভাল করেছে বলেই আমরা এমন ইনিংস খেলতে পেরেছি। আর সত্যি বলতে, উইকেটটা খুব ভাল ছিল। আশা করছি, সামনে আরো বেশ কিছুদিন এভাবে খেলে যেতে পারব।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...