জয় না পেলেও আত্মবিশ্বাস পেলেন মুশফিক

ম্যাচ জিততে তখন শেষ ৫ বলে ২০ রান দরকার ছিল। কাগজে কলমে সম্ভব, কিন্তু নেহায়েৎই অসম্ভব এক লক্ষ্য। পাঁচ বলে দরকার পাঁচ বাউন্ডারি।

ম্যাচ জিততে তখন শেষ ৫ বলে ২০ রান দরকার ছিল। কাগজে কলমে সম্ভব, কিন্তু নেহায়েৎই অসম্ভব এক লক্ষ্য। পাঁচ বলে দরকার পাঁচ বাউন্ডারি।

স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা মুশফিকুর রহিম তখন ম্যাচের মোড় প্রায় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। একের পর এক বাউন্ডারিতে জয়টাকে তখন খুবই সম্ভব বলেই মনে হচ্ছিল। ৪ বলে ৪ চারে জয়ের প্রায় দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন দলকে।

শেষ বলে আর বাউন্ডারি আসল না। মুশফিক নিশ্চিত করতে পারলেন না দলের জয়। ফলাফল দল হারে ২ রানের ব্যবধানে।

তবে, জিম আফ্রো টি-টেনে মিস্টার ডিপেন্ডেবলের ইনিংসটা বেশ স্মরণীয় হয়ে থাকল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট মুশফিক ছেড়েছে তা বেশ অনেকদিনই হল। তবে, সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ব্যাট হাতে তিনি আজও প্রাণবন্তই।

জোবার্গের জয় নিশ্চিত না হলেও নিশ্চয়ই এশিয়া কাপের আগে মুশফিকের এমন আত্মবিশ্বাসী ইনিংস বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচকই হবে। ছয় বল খেলে ১৮ রান করেন মুশফিক। মানে,স্ট্রাইক রেট ৩০০!

মুশফিকের দল জোহানেসবার্গ বাফেলোজ দিনটার জন্য নিশ্চিত ভাবেই আক্ষেপ করবে।। ডারবান কালান্দার্সের বিপক্ষে তারা হেরেছে ২ রানে। ১২২ রানের লক্ষ্যে ১১৯ রানে থেমেছে বাফেলোজ।

জিম আফ্রো টি-টেনে অবশ্য শুরু থেকেই বেশ আত্মবিশ্বাসীই ছিলেন মুশফিক। জিম্বাবুয়েতে চলমান এই আসরের প্রথম ম্যাচে ২৩ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে দারুণ শুরু করেন মুশফিক। প

রের দুই ম্যাচে অবশ্য ঠিক দলের চাহিদা মেটাতে পারেননি তিনি। দুই ম্যাচে খেলেন ১২ বলে ১৯ ও ১৩ বলে অপরাজিত ১৬ রানের ইনিংস।

একাদশের বাইরে চলে যান। এক ম্যাচ পর ফের একাদশে সুযোগ পেয়ে ঝড়ো ইনিংসে নিজের সামর্থ্যের ছাপ রাখলেন তিনি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...