বাংলাদেশের ‘সেরা’ জয়

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই ব্যাট হাতে আধিপত্য দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। তাতে পেসাররা ছিলেন পার্শ্বনায়কদের ভূমিকায়। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে এবার নায়কের ভূমিকায় আবর্তিত হয়েছিলেন পেসাররা। হাসান, তাসকিনদের বোলিং তোপে এ ম্যাচে আইরিশরা হয়েছে দিশেহারা। বাংলাদেশের জয় এসেছে ১০ উইকেটে।

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই ব্যাট হাতে আধিপত্য দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। তাতে পেসাররা ছিলেন পার্শ্বনায়কদের ভূমিকায়। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে এবার নায়কের ভূমিকায় আবর্তিত হয়েছিলেন পেসাররা। হাসান, তাসকিনদের বোলিং তোপে এ ম্যাচে আইরিশরা হয়েছে দিশেহারা। বাংলাদেশের জয় এসেছে ১০ উইকেটে।

আগের দুই ম্যাচ টস জিতে ফিল্ডিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি। কিন্তু সে দুই ম্যাচে বাংলাদেশি ব্যাটারদের সামনে রীতমত অসহায় ছিল আইরিশ বোলাররা। তাই ভাগ্যের চাকা বদলের জন্যই বোধহয় এ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বালবার্নি।

কিন্তু আইরিশ অধিনায়কের এ সিদ্ধান্তই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ইনিংসের শুরু থেকেই বাংলাদেশি পেসারদের তোপের মুখে পড়ে দুই আইরিশ ওপেনার স্টিফেন ডোহেনি ও পল স্টার্লিং। সাবধানী শুরুতে প্রথম ৪ ওভার কাটিয়ে দিলেও আইরিশ ইনিংসে প্রথম আঘাত আসে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে। ২১ বলে ৮ রান করে হাসান মাহমুদের বলে আউট হয়ে ফিরে যান স্টিফেন দোহানি।

আইরিশদের ইনিংসের ভাঙন শুরু হয় এরপর থেকেই। দুই ওভারের ব্যবধানে হাসান মাহমুদের বলে ফিরে যান পল স্টার্লিং আর হ্যারি টেক্টর। হাসান মাহমুদের পর এ দিন ভয়ংকর হয়ে ওঠেন বাকি দুই পেসারও। আইরিশ অধিনায়ক বালবার্নিংকে ফেরান তাসকিন। আর মিডল অর্ডারের ভিত্তি ভেঙ্গে দেন এবাদত হোসেন। এক ওভারেই তুলে নেন দুটি উইকেট। তাসকিন, এবাদতের আক্রমণে তখন ৭৯ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।

বাকিদের যাওয়া আসার মিছিলে এ দিন ব্যতিক্রম ছিলেন কার্টিস ক্যাম্ফার। এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু যোগ্য সঙ্গীর অভাবে আর বেশিদূর এগোতে পারেননি। হাসান মাহমুদের বলে শেষ পর্যন্ত থামতে হয়েছে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে। ক্যাম্ফার আউট হলে কোনো মতে দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার করে আইরিশরা। শেষ পর্যন্ত ২৮.১  ওভারে ১০১ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে এ দিন ক্যারিয়ারে প্রথম বারের মতো ফাইফারের দেখা পান হাসান মাহমুদ।

আগের ম্যাচে প্রায় সাড়ে তিনশো রানের সংগ্রহ গড়েও বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল ম্যাচটি। বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল এ ম্যাচেও। তাই এ দিন ১০২ রানের সহজ লক্ষ্যে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ভঙ্গিতে খেলতে শুরু করেন তামিম ও লিটন দাস।

দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সামান্যতম প্রতিরোধও গড়ে তুলতে পারেনি আইরিশ বোলাররা। তামিমের ৪১  আর লিটন দাসের ঝড়ো ফিফটিতে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৩৬.৫ ওভার হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এ জয়ের ফলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...