প্রথম বলেই ইয়র্কার। দ্বিতীয় বলেও তাই। কিছু বুঝে উঠার আগেই বল ঢুকে যাচ্ছে ব্যাটাদের প্যাড আর ব্যাটের মাঝে। এভাবেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদ নিজের ভয় ছড়িয়ে দিতে চাইলেন। গতির সাথে বোলিংয়ের ভিন্নতাই অনন্য করেছে তাসকিনকে।
বেশ কিছু দিন যাবত জাতীয় দলের খেলা ছিল না। অবশ্য টাইগার ক্রিকেটারদের ব্যস্ততা তাতে থেমে নেই। তাঁরা খেলে গিয়েছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয় টাইগাররা।
টেস্ট ক্রিকেট খেলবেন না তাসকিন, সে ঘোষণা দিয়েছিলেন আগেই। যদিও তাঁর ইনজুরিই ছিল টেস্ট না খেলার প্রধান কারণ। ঠিক সে কারণেই সাদা বলের ক্রিকেটে মনোযোগ বাড়ানো ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই তাসকিনের সামনে। রঙিন পোশাকে তাকে হতে হবে আরও বিধ্বংসী।
তাইতো এখন তিনি তাঁর লক্ষ্য স্থির করেই ফেলেছেন। আর যাই হোক আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উজাড় করে দিবেন নিজের সবটুকু। তাই তো, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতিটা সেরে নিচ্ছেন বেশ ভালোভাবেই। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাগিয়ে নিয়েছেন তিনটি উইকেট।
তিন ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩.৫০ ইকোনমিতে খরচ করেন মাত্র ১৪ রান। ছিনিয়ে নেন তিনটি উইকেট। প্রথমেই শন উইলিয়ামসকে বোল্ড করে সাঝঘরে ফেরান ডান হাতি এই বোলার। আবার রায়ান বার্ল তাঁর বলে ক্যাচ তুলে দেন রিশাদ হোসেনের হাতে।
সুযোগ পেয়েই তালুবন্দি করেন রিশাদ। অবাক করা বিষয় হলো তাসকিনের প্রথম দুইটি উইকেটই ব্যাটারদের জন্য প্রথম বল ছিল। তিন নাম্বার উইকেটটি ছিল খুবই গুরত্বপূর্ণ। কেননা ক্লাইভ মাদান্দের ব্যাটে চড়ে বিপর্যয় সামলে নিতে শুরু করে জিম্বাবুয়ে। চমৎকার এক ইয়র্কারে তাসকিন বোকা বানান মাদান্দেকে। জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটার ৩৯ বলে ৪৩ রান করে ফিরেন প্যাভিলিয়নে।
পুরো ম্যাচ জুড়েই তাসকিনের চোখে মুখে ছিল আগ্রাসন আর একাগ্রতার ছাপ। অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি প্রতিনিয়ত। আর তার ফলও পেতে শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই। বিশ্বকাপের মঞ্চেও তাসকিনের গতির সামনে মুখ থুবড়ে পড়বে প্রতিপক্ষ- বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা এখন সেই অপেক্ষাতেই আছে।