হারলেই বাদ, জিতলেও প্লে-অফ নিশ্চিত নয়; এমন সমীকরণ সামনে রেখেই চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। কিন্তু সব হিসেব নিকেশ উড়িয়ে দিয়ে প্রায় অসম্ভব সমীকরণ মিলিয়ে সেরা চারে পৌঁছে যায় ব্যাঙ্গালুরু, সেই সাথে হাতের মুঠোয় থাকা প্লে-অফের টিকিট হাতছাড়া হয় চেন্নাইয়ের।
এমন ম্যাচের পর চেন্নাই সমর্থকদের রাগ করাটাই স্বাভাবিক, তবে মহেন্দ্র সিং ধোনির রাগ বোধহয় কল্পনাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারায় তাঁকে দেখা হয় অনন্য দৃষ্টিতে, অথচ তিনিই রাগ করে ভেঙে ফেলেছিলেন ড্রেসিংরুমের টিভি!
এই দাবি করেছেন ধোনির একসময়ের সতীর্থ হরভজন সিং নিজেই। তিনি বলেন, ‘আমি সিঁড়ির ওপর থেকে দেখসিলাম সবকিছু; কোন রকম হ্যান্ডশেক শেষ করেই ধোনি ড্রেসিংরুমে ফিরে যায়। এবং সেখানে তিনি একটা টিভিতে আঘাত করে ভেঙে ফেলেন। যাইহোক, খেলায় এমন হয়ই।’
যদিও হরভজনের দাবি হেসেই উড়িয়ে দিয়েছেন সিএসকে এর ফিল্ডিং কোচ টমি সিমসেক। হরভজনের দাবি মিথ্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা পুরোপুরি রাবিশ কথাবার্তা। এমএসডি কখনো কিছু ভাঙ্গেনি; আমি তাঁকে কোন ম্যাচের পরই রাগতে দেখেনি। এসব অবশ্যই ভুল সংবাদ।’
আগে ব্যাট করতে সেদিন ২১৮ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছিল ব্যাঙ্গালুরু। জিততে না পারলেও পরাজয়ের ব্যবধান ১৮ রানের কম রাখতে পারলে সেরা চারে জায়গা পেতো চেন্নাই। কিন্তু ১৯১ রানের বেশি করতেই পারেনি তাঁরা, ধোনি যদি রাগ করেন ও, সেটা তাই অযৌক্তিক ছিল না।
কেবল মাঠের পারফরম্যান্স নয়, মাঠের বাইরেও ক্ষুব্ধ হওয়ার মত ঘটনা ঘটেছিল। নিজ দলের খেলোয়াড়, কর্মকর্তাদের নিয়ে করমর্দনের জন্য প্রস্তুত হয়েছিল ক্যাপ্টেন কুল। কিন্তু বিস্ময়ের জন্ম দিয়ে প্লে অফে জায়গা করে নেয়া ব্যাঙ্গালুরু তখনো ব্যস্ত ছিল উদযাপন করাতে। ফলে অল্প কয়েকজনের সঙ্গে হাত মিলিয়েই ড্রেসিংরুমে চলে আসেন চেন্নাইয়ের পোস্টার বয়।