ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো গোল করেছেন, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সিইউ উদযাপনে মাতিয়েছেন পুরো স্টেডিয়াম – এ তো নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। তিনি গোল করবেন এটাই তো স্বাভাবিক। যদিও মাঝের কয়েকটা ম্যাচে ভাটা পড়েছিল কিছুটা, টানা তিন ম্যাচ গোল শূন্য ছিলেন। তবে আল আইনের বিপক্ষে সেই গোল খরার অবসান ঘটেছে।
ম্যাচের ৩১ মিনিটের মাথায় দূরপাল্লার শট আল আইনের গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে বল চলে আসে এই স্ট্রাইকারের পায়ে। সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি, ঠান্ডা মাথায় ঠেলে দিয়েছেন জালে। তাঁর গোল করার দিনে আল নাসরও জিতেছে বড় ব্যবধানে, ৫-১ গোলের বিশাল জয় নিয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে উঠে আসলো তাঁরা।
অবশ্য পর্তুগিজ যুবরাজকে কেবল গোল করা বা না করা দিয়ে বিচার করলে ভুল হবে। তিনি আসলে গোলস্কোরারের চেয়ে বেশি কিছু; খেলাটার প্রতি প্যাশন, কমিটমেন্ট আর ডেডিকেশন তাঁকে আলাদা করেছে বাকি সবার থেকে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচটার কথাই ভাবুন, বিরতির একটু আগে প্রায় বিশ গজ দূর থেকে কোনাকুনি শট নেয়ার চেষ্টা করেন রোনালদো। কিন্তু এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল চলে যায় আল আইনের দখলে। তিনি কিন্তু তখন দাঁড়িয়ে থাকেননি, সাথে সাথে ট্র্যাক ব্যাক করেছেন নিজের অর্ধের দিকে।
নামতে নামতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ডিফেন্স লাইনে, এরপর নিজেই প্রেস করে ডি বক্সের সামনে থেকে বল কেড়ে নেন আবারো। তারপর কাউন্টার এটাক সাজানোর জন্য পুনরায় উঠে আসেন মাঝ মাঠে। এসব দেখে কার মনে হবে লোকটার বয়স চল্লিশের কাছাকাছি!
রোনালদো নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে চান, দলের জন্য আক্রমণে তো বটেই রক্ষণেও সহায়ক হতে চান। বয়স স্রেফ একটা সংখ্যা, বয়সের কাঁটা থামিয়ে দেয়ার অসম্ভব কাজটা করেছেন তিনি। আরো একটা অসম্ভব মাইলফলক স্পর্শ করার অপেক্ষায় আছেন তিনি, ১০০০ গোলের মাইলফলক।