২০২২ সালে সর্বশেষ স্বীকৃত ক্রিকেট খেলা এক ক্যারিবিয়ানকে দেখা যাবে চলতি বিপিএলেই। সত্যিই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সবই সম্ভব। সেই ফাস্ট বোলারটি হলেন মিগুয়েল কামিন্স।
তাকে দলে নিয়েছে দুর্বার রাজশাহী! ও দিকে, রাজশাহীর ক্রিকেটাররা টাকা না পেয়ে অনুশীলন বয়কট করেছেন! ম্যাচ না খেলারও হুমকি দিয়ে রেখেছে।
১০ বছর আগে শেষ ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলেছেন মিগুয়েল কামিন্স। রাজশাহীর টানে ক্রিকেটে ফিরে এসেছেন তিনি। তা না হলে, দুই বছর কোনো রকম স্বীকৃত ক্রিকেট খেলেন না – এমন একজন কেনই বা ফিরবেন ক্রিকেটে!
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২০১৬ থেকে ২০১৯ – এই তিন বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন মিগুয়েল। সেই সময়ে টেস্ট আর ওয়ানডে মিলিয়ে মোট ২৫ টি ম্যাচ খেললেও উইকেট পেয়েছেন মাত্র ৩৬ টি। তবে, সর্বশেষ স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৫ বছর আগে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি তিনি খেলেননি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিও ১৪ টি খেলেছেন, যার মধ্যে ১৩ টিই সিপিএল ও ভাইটালিটি ব্লাস্টে। সিপিএল তাঁর নিজের দেশের টুর্নামেন্ট। এখানেও খেলেছেন ১০ বছর আগে।
মানে, তেমন কোনো প্রতিভাধর তিনি কোনো কালেই ছিলেন না। এখন বয়সও ৩৪-এর ওপরে। তাহলে কেনই বা তাঁকে দলে নেওয়া? অবশ্য, বৃদ্ধাশ্রম প্রিমিয়ার লিগ খ্যাত বিপিএলে পুনর্বাসনের এই নিয়ম অবশ্য বেশ পুরনো। এর আগেও সামিত প্যাটেল, রবি বোপারা, দিলশান মুনাবীরাদের দেখা গেছে আগে। এবারও থিসারা পেরেরা কিংবা চতুরঙ্গ ডি সিলভারা আছেন।
এবার রাজশাহী দলেও আছেন বাংলাদেশের শফিউল ইসলাম, যিনি রানের পর রান গুণলেও ঠিকই প্রায় প্রতিটা ম্যাচ খেলে যাচ্ছেন। ছয় ম্যাচে চার হার নিয়ে টেবিলের তলানির দিকে থাকা দুর্বার রাজশাহী কক্ষপথে ফিরতে কামিন্সেই ভরসা রাখছে, কারণ একটাই – এর চেয়ে সস্তায় আর কিছু পাওয়া সম্ভব নয়।