শুধুমাত্র চাকরি থেকে বিতাড়িত হয়েই কি অঢেল টাকার মালিক হওয়া সম্ভব! নামটা যদি হয় হোসে মরিনহো হয়, তবে সবই সম্ভব। বিভিন্ন ক্লাব থেকে চাকরি হারিয়ে এমন বিরল কাণ্ড ঘটিয়েছেন ‘দ্য স্পেশাল ওয়ান’। এখন অবধি শুধুমাত্র চাকরি হারিয়েই ১২০০ কোটির উপরে কামিয়েছেন তিনি।
ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবারের মত চাকরি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন মরিনহো। সর্বশেষ হয়েছেন এএস রোমা যুগে। পয়েন্ট তালিকার নয় নম্বরে নেমে যাওয়া রোমা আর ভরসা রাখতে পারেনি। রোমাকে খসাতে হয় বড় অংকের টাকা। যদি কাড়াকাড়ি অর্থ চাকরি হারালেও পাওয়া যায় তবে তাতে কারই বা আপত্তি থাকবে?
তার পে আউটের তালিকা দেখলেই বোঝা যায়, ‘দ্য স্পেশাল ওয়ান’ এর জন্য চাকরিচ্যুত হওয়াটাই যেন আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস! মরিনহো ক্লাব থেকে বিতাড়িত হওয়ার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অর্থ পেয়েছেন চেলসি থেকে।
শুধুমাত্র চেলসি থেকেই আয় করেছেন ২৬ মিলিয়ন পাউন্ড। ২০০৭ সালে প্রথমবার স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ থেকে বরখাস্ত হওয়ার জন্য তাকে ১৮ মিলিয়ন পাউন্ড দেওয়া হয়। আর দ্বিতীয় দফা ২০১৫ সালে তার চাকরিচ্যুতির জন্য তাকে আবারও ৮ মিলিয়ন দিতে হয় চেলসিকে।
চেলসির বাইরেও, রিয়াল মাদ্রিদকে দিতে হয়েছিল ১৭ মিলিয়ন পাউন্ড। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকেও গুনতে হয়েছে প্রায় ১৯.৬ মিলিয়ন পাউন্ড। কেননা ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তাকে বরখাস্ত করার, মাত্র কয়েক মাস আগেই ইউনাইটেড তার সাথে দুই বছরের নতুন চুক্তি করেছিল।
এছাড়াও টটেনহ্যাম থেকে বরখাস্ত হওয়ার জন্য মরিনহো পেয়েছিলেন ১৫.৩ মিলিয়ন পাউন্ড। আর এবার রোমাকে গুনতে হবে তিন মিলিয়ন পাউন্ড। শুধু কোচিংয়েই নয়, কোচিং থেকে ছিটকে গিয়েও তিনি স্পেশাল ওয়ান!
মরিনহো তো এমনই। আসেন, দেখেন, জয় করেন, ছন্দ হারান, বিপুল অংকের টাকা নিয়ে নতুন গন্তব্যে পা বাড়ান। অদ্ভুত চরিত্র বলেই তো তিনি দ্য স্পেশাল ওয়ান।