বোলিং পারেন, করেন/করতেন না!

তাঁরা মূলত ব্যাটার। মানে যাদের কথা আজকে বলতে চলেছি তাঁরা সবাই পুরোদস্তুর ব্যাটার হয়েই বিচরণ করবেন বিশ্বক্রিকেটের ইতিহাসে। এর হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে তাঁরাও তাঁদের ক্যারিয়ারে দলের প্রয়োজনে বল হাতে আবির্ভূত হয়েছিলেন বাইশগড়ের দ্বারপ্রান্তে। টেস্ট ক্রিকেটের তেমনই কিছু ব্যাটারদের নিয়ে হবে আজকের আলোচনা।

তাঁরা মূলত ব্যাটার। মানে যাদের কথা আজকে বলতে চলেছি তাঁরা সবাই পুরোদস্তুর ব্যাটার হয়েই বিচরণ করবেন বিশ্বক্রিকেটের ইতিহাসে। এর হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে তাঁরাও তাঁদের ক্যারিয়ারে দলের প্রয়োজনে বল হাতে আবির্ভূত হয়েছিলেন বাইশগড়ের দ্বারপ্রান্তে। টেস্ট ক্রিকেটের তেমনই কিছু ব্যাটারদের নিয়ে হবে আজকের আলোচনা।

  • মাইকেল ভন (ইংল্যান্ড)

মাইকেল ভনকে চেনে না এমন ক্রিকেট ভক্ত খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কারণ ভিন্ন হতেই পারে। টেস্টে ইংলিশদের হয়ে প্রায় ছয় হাজার রান করা ভন ৩৫টি ইনিংসে বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন। তবে বল হাতে তেমন উজ্জ্বল সময় তিনি কাটাতে পারেননি।

কেবল ছয়টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। তাঁর বোলিং গড় ৯৩.৫০। মূলত পার্টটাইম বোলার হিসেবেই তিনি বল করেছেন। তবে শচীন টেন্ডুলকারকে একদফা আউট করে তিনি শতকের সেরা বল করার গৌরব অর্জন ঠিকই করেছেন।

  • স্টিভ স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া)

মূলত লেগ স্পিনার হিসেবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আবির্ভাব ঘটেছিল স্টিভ স্মিথের। কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্নের উত্তরসূরী হিসেবেই ভাবা হত তাঁকে।

তবে তিনি নিজের সে পরিচয় ঝেড়ে ফেলে নতুন এক পরিচয়ে নিজেকে মেলে ধরেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তবে কালেভদ্রে যে তিনি বোলিং করেননি তাও নয়। ৫৮টি টেস্ট ইনিংসে বল করে তিনি ৫৫ গড়ে পেয়েছেন ১৮টি উইকেট।

  • মাইকেল আথারটন (ইংল্যান্ড)

কিংবদন্তি ব্যাটার মাইকেল আথারটন ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে ৭৭২৮ রান করেছেন তাঁর ক্যারিয়ারে। ১১৫ ম্যাচের ক্যারিয়ারে তিনি মাত্র ১৪টি ইনিংসে বল করেছেন দলের প্রয়োজনে। এ সময়ে তাঁর বোলিং গড় ১৫১। কেননা তাঁর নামের পাশে রয়েছেন কেবল মাত্র দুইটি উইকেট।

  • কেভিন পিটারসেন (ইংল্যান্ড)

মূল বোলারদের বিরতি দিতেই হয়ত অধিকাংশ সময় কেভিন পিটারসেন বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন। তবুও ৫৮টি ইনিংসে তাঁর হাতে বল তুলে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের সমসাময়িক অধিনায়কেরা। সফলতা খুব একটা নেই। ৮৬.৬০ গড়ে দশ উইকেট শিকার করতে পেরেছেন। কাজ চালিয়ে নেওয়ার মত বোলিং করে গেছেন তিনি।

  • অ্যান্ড্রু জোনস (নিউজিল্যান্ড)

খুব সুদীর্ঘ ক্যারিয়ার নয় অ্যান্ড্রু জোনসের। মাত্র ৩৯ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ার তাঁর। এই সময়ে তিনি হাজার দুই রান করেছেন। তবে এর ফাঁকে তিনি ১৪টি ইনিংসে বল করে একজন অলরাউন্ডার হওয়ারও চেষ্টা চালিয়েছেন। তবে সফলতা মেলেনি তাঁর ভাগ্যেও। ১৯৪ গড়ে তাঁর নামের পাশে উকেটের কলামে দাগ পড়েছেন মাত্র একটি।

  • ডেমিয়েন মার্টিন (অস্ট্রেলিয়া)

টপ অর্ডারে ব্যাটিং করেছেন ডেমিয়েন মার্টিন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন তিনি। রান করেছেন প্রায় সাড়ে চার হাজার। এই ফাঁকে তিনি উইকেট তুলে নিয়েছেন মাত্র দুইটি। ১২ ইনিংসে ৮৪.০০ গড় তাঁর। এখানটায় অবশ্য তাঁর তেমন কিছুই করার ছিল না। তিনি তো ছিলেন একজন পুরোদস্তুর ব্যাটার।

  • ক্যামেরন হোয়াইট (অস্ট্রেলিয়া)

আরও একজন অজি ব্যাটার ক্যামেরন ওয়াইট থাকছেন এই তালিকায়। ক্যামেরন হোয়াইটে ক্যারিয়ারটা একদমই স্বল্প। সে স্বল্প সময়ে চার টেস্ট খেলেছেন তিনি।

তবে, সে চার টেস্টেও বল হাত খুব একটা কিছু করে দেখাতে পারেননি তিনি। ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলেও তাঁর উইকেট মাত্র পাঁচটি। গড় ৬৮.৪০। অথচ তিনি হতে পারতেন শেন ওয়ার্নের উত্তরসূরি একজন অলরাউন্ডার হয়ে।

  • মাইক গ্যাটিং (ইংল্যান্ড)

প্রায় সাড়ে হাজার রান করেছেন মাইক গ্যাটি। ৭৯ টেস্টের ক্যারিয়ারে তিনি চারটি উইকেটও বাগিয়েছেন। তবে ৩২ ইনিংসের ৭৯.২৫ বোলিং গড়টা খুব একটা ফলপ্রসূ নয়। দেখতেও বেশ দৃষ্টিকটু। তবুও তিনি দলের প্রয়োজনে বল হাতে নিয়েছেন। দলের স্ট্রাইক বোলারদের একটু বিশ্রাম দেবেন বলে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...