আমরাও ব্যাট করতে পারি

মোটামুটি সব দলের বোলাররাই ব্যাট হাতেও কিছুটা অবদান রাখতে পারেন। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের ১১তম ব্যাটসম্যানও ব্যাট হাতে যথেষ্ট কার্যকর। এর কারণেই সাদা বলের ক্রিকেটে দারুণ সাফল্য পাচ্ছে দলটি। এছাড়া মোটামুটি সব দলই এখন তাঁদের বোলারদের থেকেও ব্যাট হাতে কিছু রান পেতে চায়।

আধুনিক ক্রিকেটে প্রতিটা দলই চায় তাঁদের ব্যাটিং অর্ডার লম্বা করতে। মোটামুটি সব দলের বোলাররাই ব্যাট হাতেও কিছুটা অবদান রাখতে পারেন। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের ১১তম ব্যাটসম্যানও ব্যাট হাতে যথেষ্ট কার্যকর। এর কারণেই সাদা বলের ক্রিকেটে দারুণ সাফল্য পাচ্ছে দলটি। এছাড়া মোটামুটি সব দলই এখন তাঁদের বোলারদের থেকেও ব্যাট হাতে কিছু রান পেতে চায়।

দেখা যায়, আট নম্বর কিংবা এরপরে নেমেও অনেক বোলাররা দলের জন্য রান করে দিচ্ছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে আট কিংবা তারপরে নেমে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলা ব্যাটসম্যানরা থাকছেন এই তালিকায়।

  • নাথান কোল্টার নাইল (অস্ট্রেলিয়া)

অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলার কোল্টার নাইল ব্যাট হাতেও বেশ কার্যকর। ২০১৯ বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দারুণ এক ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪৭ রানেই ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা স্টিভ স্মিথের সাথে তখন ব্যাট করতে নামেন কোল্টার নাইল। তাঁরা দুজনে মিলে করেন ১০২ রানের জুটি।

সেদিন সর্বোচ্চ রান আসে নাইলের ব্যাট থেকেই। মাত্র ৬০ খেলেছিলেন ৯২ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। ১৫৩.৩৩ স্ট্রাইকরেটের সেই ইনিংসটিতে ছিল ৮ টি চার ও ৪ টি ছয়। আট কিংবা তারপর ব্যাটিং করতে নেমেই এটি ওয়ানডে ক্রিকেটের পঞ্চম সর্বোচ্চ ইনিংস।

  • আন্দ্রে রাসেল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

সাদা বলের ক্রিকেটে ক্রিকেট বিশ্বের নামী অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। তবে ব্যাটসম্যান হিসেবে রাসেলকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল ২০১১ সালে ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচটিই। নয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সেদিন অপ্রতিরোধ্য এক ইনিংস খেলেছিলেন অ্যান্ড্রু রাসেল।

আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯৬ রানেই সাত উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে নয়ে রাসেল নেমে খেলেছিলেন ৬৪ বলে ৯২ রানের এক ইনিংস। ১৪৩.৩৪ স্ট্রাইকরেটের সেই ইনিংসটিতে ছিল ৮ চার ও ৫ ছয়। একাই সেদিন ভারতের ব্যাটিং লাইন আপকে শাষণ করেছিলেন এই ব্যাটসম্যান।

  • স্যাম কুরান (ইংল্যান্ড)

ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার স্যাম কুরান বারবারই প্রমাণ করেছেন ডাউন দ্য অর্ডারে তিনি কতটা কার্যকর হতে পারেন। তবে এইবছর পুনেতে ভারতের বিপক্ষে নিজের সেরাটা দিয়েছেন তিনি। ভারত আগে ব্যাট করতে নেমে করেছিল ৩২৯ রান। ওদিকে ইংল্যান্ড ১৬৮ রানেই ছয় উইকেট হারয়ে ফেলে।

তখনই আট নম্বরে খেলতে নামেন স্যাম কুরান। ৯ চার ও ৩ ছয়ে সেই ম্যাচে ৯৫ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর এই অসাধারণ ইনিংসের পরেও মাত্র ৭ রানে হেরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড।

  • ক্রিস ওকস (ইংল্যান্ড)

ক্রিস ওকসের ব্যাটিং সক্ষমতা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার বারবারউ ব্যাট হাতে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৬ সালে এমনই এক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। আগে ব্যাট করতে নেমে বোর্ডে ২৮৬ রান জমা করেছিল শ্রীলঙ্কা।

বল হাতে দুই উইকেট নেয়ার পর আট নম্বরে ব্যাট করতে নামেন দলের বিপদের সময়ে। সেখান থেকে ৯৫ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলে দলকে তুলে আনেন তিনি।

  • সিমি সিং (আয়ারল্যান্ড)

আয়ারল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার আট নম্বরে এসে ওয়ানডে ক্রিকেটের সেরা ইনিংসটি খেলেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৯১ বলে খেলেছিলেন ১০০ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। সেই ইনিংসে মোট ১৪ টি চার মেরেছিলেন এই অলরাউন্ডার। যদিও তাঁর এই ইনিংসও আয়ারল্যান্ডকে জয় এনে দিতে পারেনি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...