টেস্ট লড়াইয়ের খুটিনাটি

টেস্টে ২০০৯ সালে খর্বশক্তির এক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ। তারপর থেকে পরিসংখ্যানে কিছুটা ভারসাম্য এসেছে। তারপরও টেস্টে উইন্ডিজের বিপক্ষে টাইগারদের পারফরমেন্স বলার মতো না।

দেখতে দেখতে ২১ বছর কেটে গেল।

টেস্ট ক্রিকেটে সেদিনের শিশু বাংলাদেশ এখন কৈশোরোত্তীর্ণ এক যুবা। এই পথ চলার শুরু ২০০০ সাল থেকে। অভিষেকের এতো বছর পরও টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখনো বড় দল হয়ে উঠতে পারেনি। এখনো তাদের পারফরমেন্স সাদামাটা।

টেস্টে ২০০৯ সালে খর্বশক্তির এক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ। তারপর থেকে পরিসংখ্যানে কিছুটা ভারসাম্য এসেছে। তারপরও টেস্টে উইন্ডিজের বিপক্ষে টাইগারদের পারফরমেন্স বলার মতো না। চলুন দেখে নেওয়া যাক, ক্যারিবীয়দের বিরুদ্ধে টাইগারদের যত টুকিটাকি পরিসংখ্যান:

  • মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।  এই পর্যন্ত ১৬ বারের দেখায় বাংলাদেশের জয় মাত্র ৪টা। বিপরীতে হার ১০টা; ড্র ২ টা।
  • বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ৫৫৬। সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ ৪৩!  উইন্ডিজের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ৬৪৮। সর্বনিম্ন ১১১।

  • বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় ইনিংস ও ১৮৪ রানে।  উইন্ডিজের বড় জয় ইনিংস ও ৩১০ রানে।
  • সবচেয়ে বেশি রান উইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপলের। ১৪ ইনিংসে ৮৯৭ রান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান তামিমের; ২০ ইনিংসে ৭৫০ রান। তাঁর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন সাকিব আল হাসান; ১৮ ইনিংসে ৭৪৫ রান।
  • সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের মালিক রামনারেশ সারওয়ান; অপরাজিত ২৬১ রান। মারলন স্যামুয়েলসের  ২৬০ রান। বাংলাদেশিদের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান  মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের; ১৩৬ রান।  তামিমের ১২৮।
  • বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক শিবনারায়ণ চন্দরপল।  ৪টা শতক আছে তাঁর। কার্লোস ব্রাথওয়েটের শতক ৩টা। তামিম, রিয়াদ, মুশফিক, মুমিনুল, আবুল হাসান, নাইম ইসলাম, হাবিবুল বাশার,  খালেদ মাসুদ  এবং মোহাম্মদ রফিক সবার একটি করে সেঞ্চুরি আছে উইন্ডিজের বিপক্ষে।
  • সবচেয়ে বেশিবার পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন চন্দরপল এবং সাকিব আল হাসান; ৭ বার করে।
  • এক সিরিজে সবশেষে বেশি রানও চন্দরপলের; ৩ ইনিংসে ৩৫৪ রান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ  নাসির হোসেনের; ৪ ইনিংসে ২৬৩ রান।

  • সবচেয়ে বেশি উইকেট সাকিব আল হাসানের;  ১৮ ইনিংসে ৪৬ উইকেট। উইন্ডিজের হয়ে ১৪ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৩ উইকেট নিয়েছেন কেমার রোচ।
  • ইনিংসে সেরা বোলিং ফিগার মিরাজের; ৫৮ রানে ৭ উইকেট।  সাকিবের আছে ৩৩ রানে ৬ উইকেট। উইন্ডিজের লাওসন মাত্র ৩ খরচ করে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ম্যাচে সেরা বোলিং ফিগারও মিরাজের;  ১১৭ রানে ১২ উইকেট।  উইন্ডিজের সেরা বোলিং ফিগার জেসন হোল্ডারের; ১০৩ রানে নিয়েছেন ১১ উইকেট।
  • বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে বেশিবার ৫ উইকেট নিয়েছেন  সাকিব ও মিরাজ  ৩ বার করে। উইন্ডিজের হয়ে তিন বার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন কেমার রোচ।
  • উইন্ডিজের হয়ে এক সিরিজে বেশি উইকেট নিয়েছেন জেসন হোল্ডার; ২ ম্যাচে ১৬ উইকেট।  এক সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট মিরাজের;  ২ ম্যাচে ১৫ উইকেট।  সাকিবের আছে ১৩ উইকেট।

  • বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ডিসমিসাল মুশফিকুর রহিমের। ২০ ইনিংসে ২১ ডিসমিসাল মুশফিকের। ১৮ ক্যাচ, ৩ স্ট্যাম্পিং।  দিনেশ রামদিনের ৮ ইনিংসে ২০ ডিসমিসাল।
  • উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩ ক্যাচ নিয়েছেন ড্যারেন স্যামি। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৯ ক্যাচ নিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
  • উইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের পার্টনারশিপ  ব্রাভো ও স্যামুয়েলসের;  তৃতীয় উইকেটে ৩২৬ রানের পার্টনারশিপ তাদের। বাংলাদেশের হয়ে মাহমুদুল্লাহ ও আবুল হাসানের। নবম উইকেটে ১৮৪ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...