অপরাজিত থেকেই সেমির পথে

নিয়মরক্ষার ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ৭২ রানে হারিয়ে সুপার টুয়েলভে কোনো ম্যাচ না হেরে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিতে পা দিলো পাকিস্তান। গ্রুপে নিজেদের পাঁচ ম্যাচ জিতেই সুপার টুয়েলভ পাড় করলো পাকিস্তান। 

নিয়মরক্ষার ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ৭২ রানে হারিয়ে সুপার টুয়েলভে কোনো ম্যাচ না হেরে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিতে পা দিলো পাকিস্তান। গ্রুপে নিজেদের পাঁচ ম্যাচ জিতেই সুপার টুয়েলভ পাড় করলো পাকিস্তান।

১৯০ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ২৩ রান এলেও হাসান আলি, শাদাব খানদের দাপটে ১৮ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারায় স্কটিশরা। টপ অর্ডার ভেঙ্গে পড়ায় ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় স্কটল্যান্ড।

এরপর রিচি বেরিংটন ও মাইকেল লিস্কের ৪৬ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও পেরে উঠতে পারনেই পাকিস্তানি বোলারদের সামনে। দলীয় ৮৭ রানে ব্যক্তিগত ১৪ রানে লিস্ক ফিরলেও একপ্রান্তে চালিয়ে যান বেরিংটন। তবে ম্যাচে ততক্ষনে হার নিশ্চিত হয়ে গেছে স্কটল্যান্ডের। তবে একপ্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাট করে ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন বেরিংটন।

বেরিংটনের হার না মানা ৫৪ রানে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৮ রান সংগ্রহ করে স্কটল্যান্ড। ৭২ রানের জয়ে অপরাজিত থেকে সেমিতে পৌঁছে গেল পাকিস্তান।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুন শুরু করে পাকিস্তানি ওপেনাররা। ওপেনিং জুটিতে আসে ৩৫ রান। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান ফেরেন ১৫ রানের ইনিংস শেষে। দ্বিতীয় উইকেট বাবর আজমের সাথে ২৪ রানের জুটির পথে মাত্র ৮ রানে ফেরত যান ফখর জামান। দলীয় ১০ ওভারে রান তখন ২ উইকেটে মাত্র ৬০! ঠিকভাবে দ্রুত রান তুলতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা।

এরপর বাবরের সাথে জুটি গড়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন মোহাম্মদ হাফিজ। তৃতীয় উইকেটে ৩২ বলে ৫৩ রানের জুটির পথে হাফিজ করেন ১৯ বলে ৩১ রান। একপ্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে বাবর তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। এরপর হাফিজ ফিরলে বাবরের সাথে যোগ দেন শোয়েব মালিক।

মালিকের ১৮ বলে ৬ ছক্কা ও ১ চারে হার না মানা ৫৪ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। দলের পক্ষে বাবর সর্বোচ্চ ৬৬ ও মালিক করেন ৫৪ রান। স্কটল্যান্ডের পক্ষে ক্রিস গ্রিভস সর্বোচ্চ ২ টি উইকেট লাভ করেন।

একপ্রান্তে ব্যাট হাতে তান্ডব চালাতে শুরু করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ব্যক্তিগত ৪৭ বলে ৬৬ রানে বাবর আউট হলেও মালিক অব্যাহত রাখেন চার ছক্কার ফুলঝুরি। করেন ১৮ বলে ফিফটি! এবারের আসরের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডে যৌথভাবে লোকেশ রাহুলের পাশে নাম লেখান মালিক।

মালিকের ১৮ বলে ৬ ছক্কা ও ১ চারে হার না মানা ৫৪ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। দলের পক্ষে বাবর সর্বোচ্চ ৬৬ ও মালিক করেন ৫৪ রান। স্কটল্যান্ডের পক্ষে ক্রিস গ্রিভস সর্বোচ্চ ২ টি উইকেট লাভ করেন।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

পাকিস্তান – ১৮৯/৪ (২০ ওভার); বাবর ৬৬(৪৭), মালিক ৫৪(১৮)*, হাফিজ ৩১(১৯); গ্রিভস ৪-০-৪৩-২, হামজা ৪-০-২৪-১, সাফিয়ান ৪-০-৪১-১।

স্কটল্যান্ড – ১১৭/৬ (২০ ওভার); বেরিংটন ৫৪(৩৭)*, জর্জ মানসে ১৭(৩১), লিস্ক ১৪(১৪); শাদাব ৪-০-১৪-২, শাহিন ৪-০-২৫-১, হারিস রউফ ৪-০-২৭-১, হাসান আলি ৪-১-৩৩-১।

ফলাফল: পাকিস্তান ৭২ রানে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: শোয়েব মালিক (পাকিস্তান)।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...