‘আসল ব্যাপারটা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি’

‘এমন না যে আমার একটা বিরতি দরকার, আসল ব্যাপারটা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি আসলে নিশ্চিত ছিলাম না সেখানকার স্বাস্থ্যের পরিস্তিতি নিয়ে। কিছুটা সংশয় ছিলো। যেহেতু অন্যন্য খেলোয়াড়রাও যাচ্ছে না, তাই আমিও অনুভব করেছি যে আমারও ঝুঁকি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ বুঝতে পেরেছে এবং আমাদের সিদ্বান্তকে সম্মান করেছে।’

অপেক্ষা আর মাত্র দুই দিনের। আগামী ১০ জানুয়ারি ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। করোনার কারণে দীর্ঘ ১১ মাস পর এই সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ। তবে সবার ভিতর যে উৎসাহ উদ্দীপনা ছিলো তাতে একটু হলেও ভাটা পড়েছে ক্যারিবিয়ানদের স্কোয়াড দেখে।

বাংলাদেশ সফরে আসছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের আলাদা আলাদা স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই)। ওয়ানডে স্কোয়াডের আট জন ক্রিকেটার এবং টেস্ট স্কোয়াডের চার জন ক্রিকেটার রয়েছে অভিষেকের অপেক্ষায়।

সিরিজ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, সহ-অধিনায়ক রস্টন চেজ, শাই হোপ, কাইরন পোলার্ড, শামার ব্রুকস, শেলডন কটরেল, এভিন লুইস ও শিমরন হেটমায়ার। ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে আসতে চাননি নিকোলস পুরান, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ও শেন ডওরিচ।

ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে সিরিজ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেও ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান নিকোলস পুরান জানিয়েছেন করোনা ঝুঁকিতে বাংলাদেশে যাচ্ছেন না তিনি। পুরান সংশয়ে ছিলেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিস্তিতি নিয়েও।

ক্রিকবাজকে তিনি বলেন, ‘এমন না যে আমার একটা বিরতি দরকার, আসল ব্যাপারটা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি আসলে নিশ্চিত ছিলাম না সেখানকার স্বাস্থ্যের পরিস্তিতি নিয়ে। কিছুটা সংশয় ছিলো। যেহেতু অন্যন্য খেলোয়াড়রাও যাচ্ছে না, তাই আমিও অনুভব করেছি যে আমারও ঝুঁকি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ বুঝতে পেরেছে এবং আমাদের সিদ্বান্তকে সম্মান করেছে।’

শুধু বাংলদেশের করোনা পরিস্তিতির জন্যই এমন সিদ্বান্ত নেয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। গত পাঁচ মাস ধরে জৈব সুরক্ষা বলয়ের ভিতর ছিলো তাঁরা। বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজও অনুষ্ঠিত হবে জৈব সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করেই। বায়ো বাবলের ধকল কাটাতে তাদের এমন সিদ্বান্ত নিতে প্রভাবিত করেছে। পুরান জানিয়েছেন বায়ো বাবলে থাকার অভিজ্ঞতার কথাও।

তিনি বলেন, ‘প্রথমত জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবলে থাকা সত্যিই অনেক কঠিন। আমরা পাঁচ মাস বায়ো বাবলে থেকেছি। বন্ধু এবং পরিবার থেকে দূরে থাকা কঠিন। তবে একজন ক্রিকেটার হিসাবে বায়ো বাবলের প্রশংসা করা উচিত। কারণ আপনার ফোকাস থাকা উচিত শুধু খেলা সম্পর্কেই। কি ভাবে আরো ভালো করা যায় সে সম্পর্কে। কিন্তু আপনি তো খেলোয়াড় হিসাবে অভিনয় করছেন না। আপনাকে বাইরে বেরোতে হবে। পানীয় পান করতে হবে, খেতে হবে। জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবলের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিকই আছে।’

পাঁচ মাস বায়ো বাবলে থেকে তাঁরা একেক দেশে একেক রকমের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। অস্ট্রেলিয়া ও আরব আমিরাতের বায়ো বাবল নিয়মের সাথে মিল ছিলো না নিউজিল্যান্ডের বায়ো বাবল নীতির। বাংলাদেশের জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়েও হয়তো শঙ্কা ছিলো তাদের মনে।

পুরান বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে বায়ো বাবলের বিভিন্ন বিধি রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া আরব আমিরাতের চেয়ে নিউজিল্যান্ডে আলাদা নিয়ম ছিলো। অস্ট্রেলিয়াতে আমরা ভালো হোটেলে ছিলাম। নিউজিল্যান্ডে আমাদের বাইরের লোকদের সাথে কথা বলার অনুমতি ছিলো না। যদি আমাদের বাইরের লোকদের সাথে কথা বলার অনুমতি দেওয়া না হয়; তাহলে অন্তত আমাদের অন্য সুযোগ সুবিধা গুলো নিশ্চিত করা উচিত।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...