সোহানই বিপিএলের সেরা অধিনায়ক!

সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, স্টিভেন স্মিথ, শহীদ আফ্রিদির মত রথি মহারথীরা নিজেদের নেতৃত্বের মুনশিয়ানা দেখিয়ে গেছেন এই ফ্রাঞ্চাইজি লিগেই। তবে পরিসংখ্যানে কিন্তু সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন নুরুল হাসান সোহান। ৩৫ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে তিনি জিতেছেন ২৬ ম্যাচে। হেরেছেন মোটে নয়টা ম্যাচ, জয়ের হার ৭৪.২৯।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সেরা অধিনায়ক কে? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা বড্ড কঠিন। কেননা সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, স্টিভেন স্মিথ, শহীদ আফ্রিদির মত রথি মহারথীরা যে নিজেদের নেতৃত্বের মুনশিয়ানা দেখিয়ে গেছেন এই ফ্রাঞ্চাইজি লিগেই। তবে পরিসংখ্যানে কিন্তু সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন নুরুল হাসান সোহান।

৩৫ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে তিনি জিতেছেন ২৬ ম্যাচে। হেরেছেন মোটে নয়টা ম্যাচ, জয়ের হার ৭৪.২৯। পেছনে ফেললেন বিপিএলের আরেক সফলতম অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে। অধিনায়ক হিসেবে ৭৩.৮০ শতাংশ জয় নিয়ে এতদিন এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন তিনি।

তবে সোহানের সামনে সব রেকর্ড, পরিসংখ্যান যেন নস্যি। চলতি বিপিএলেও আট ম্যাচের আটটিতেই জিতে সবার আগে রংপুর রাইডার্সকে কোয়ালিফায়ারে তুলেছেন তিনি। বিপিএল বাদেও সম্প্রতি নিজের ধার দেখিয়ে এসেছেন গ্লোবাল সুপার লিগেও। টুর্নামেন্টটির প্রথম আসরেই শিরোপা জিতিয়েছেন রংপুরকে। তার নেতৃত্বে বর্তমানে টানা ১১ ম্যাচে অপরাজিত উত্তরবঙ্গের দলটি।

তাঁকে থামানো যেন মুশকিলই না অসম্ভবই হয়ে উঠেছে এখন। বুদ্ধিদীপ্ত ফিল্ডিং প্লেসমেন্ট বা বোলিং চেঞ্জ অথবা বিশ্বস্ত দস্তানায় বল তালুবন্দী করে ম্যাচের ঘোরানো কিংবা ব্যাট হাতে অসম্ভব ম্যাচ জেতানো, সবেতেই সর্বেসর্বা নুরুল হাসান সোহান। ব্যাটিং, কিপিং এর সাথে ক্যাপটেন্সিটাও চালাচ্ছেন সেরাদের সেরার মতই।

চলতি বিপিএলে মাত্র দুইটা ম্যাচেই হারের চাপে পড়তে গিয়েছিল তার দল। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৬ রান। তিন ছক্কা আর তিন চারে ৩০ রান নিয়ে অকল্পনীয় এক ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন সোহান। ম্যাচের মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলেছিলেন খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষেও। শেষ ১৮ বলে খুলনার দরকার ছিল মোটে ২২ রান, হাতে ছিল সাত উইকেট। তখন স্পিনার শেখ মাহেদী এনে চমকে দেন তিনি সবাইকে। মাত্র চার রান দিয়ে এক উইকেট নিয়ে ম্যাচটা রংপুরের দিকে নিয়ে আসেন মাহেদী। শেষ অবধি আট রানে জিতেও যায় রংপুর।

এমনকি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের বিরুদ্ধেও নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। সৈকতের বিরুদ্ধে রিভিউ নেওয়া মানেই রিভিউটা হেলায় হারানো, এটিই যেন একটা অলিখিত নিয়ম হয়ে গিয়েছিল সাম্প্রতিক সময়ে। রিভিউ নিয়েও সফল হচ্ছিলেন না অনেক নামিদামি অধিনায়করাও। সেই সৈকতের বিরুদ্ধেই  রিভিউ নিয়ে তাকে ভুল প্রমান করেন সোহান চিটাগং কিংসের বিপক্ষে। নিজেকে সত্যিকার অর্থেই ‘দ্য কিং অফ নর্থ’ হিসেবে অধিষ্ঠিত হয়েছেন সোহান।

Share via
Copy link