কলকাতার সাথে শেষটা নি:সন্দেহে আরও ভাল হতে পারত শ্রেয়াস আইয়ার। যেহেতু, নাইট রাইডার্সের ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে তিনি আইপিএল শিরোপা এনে দিয়েছেন, তাই তিনি সামান্য একটু সম্মানের দাবি জানাতেই পারেন।
জানালেও আর লাভ নেই। কারণ, অনেকটা ঘাড় ধাক্কা দিয়েই তাঁকে দলকে বের করে দেয় কেকেআর। গৌতম গম্ভীরের পর দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে কেকেআরকে তৃতীয়বারের মত আইপিএল শিরোপা জেতালেও শ্রেয়াস আইয়ারের বিদায়টা ছিল রংহীন-আলোহীন।
২০২৫ সালের মেগা নিলামের আগে কলকাতা ধরে রাখেনি শ্রেয়াস আইয়ারকে। তাঁকে নিলাম থেকে দলে নেওয়ার চেষ্টাও করেনি বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের দল। শ্রেয়াসকে ছাড়ার কারণ জানতে চেয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। বিশেষ করে, যখন কেকেআরে অধিনায়ক-ম্যাটেরিয়াল কেউ নেই – তখন প্রশ্ন উঠতেই পারে।
পাঞ্জাব কিংসে গিয়ে আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি প্লেয়ার হয়েছেন আইয়ার। অধিনায়কত্বও পেয়েছেন বেশ আয়োজন করে। কেন কেকেআর তাঁকে ছেড়ে দিয়েছিল?
মুখ খুললেন আইয়ার। জানালে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শ্রেয়াসের দাবি, পর্যাপ্ত আলোচনা না হওয়ার জন্যই কেকেআর ও তাঁর মধ্যে চুক্তি হয়নি। মানে, কলকাতা তাঁকে আইপিএল জয়ের পর থেকেই এড়িয়ে চলা শুরু করে।
আইয়ার বলেন, ‘আইপিএল জেতার পরেই রিটেনশন নিয়ে কেকেআর আর আমার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তার পর কয়েক মাস আর সেই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হয়নি। যা হচ্ছে সেটা নিয়ে আমি দ্বিধায় ছিলাম। পর্যাপ্ত আলোচনা না হওয়া, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে না পারার জন্য দু’পক্ষ বসে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।’
আদতে কলকাতা আইয়ারকে শেষ অবধি ঝুলিয়ে রাখে, কোনো সিদ্ধান্ত না জানিয়েই বের করে দেয়। যেন আইয়ার গুরুত্বপূর্ণ কেউ নন। তিনি বলেন, ‘‘আমি হতাশ, কারণ আমার সঙ্গে আলোচনার একটা নির্দিষ্ট কোনো লাইন ছিল না। আমি রিটেনশন তারিখের একদিন আগে পর্যন্ত জানতাম না আমাকে রাখা হচ্ছে কি না। আমাকে তাই সিদ্ধান্ত নিতেই হতো।’
যাক, আইয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন। আর এবার সেই সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণিত হলে পাঞ্জাবের জন্য দারুণ সুদিনই অপেক্ষা করছে।