‘বুদ্ধি’ করে হাফ সেঞ্চুরি তামিমের

আম্পায়ারও কি বুঝে সেই আবেদনে সারা দিয়ে দেন। তামিম এগিয়ে এসে কথা বললেও তাতে লাভ হয়নি। বল ডেড ঘোষণা করা হয়। তামিমের হাফ সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা একটু বাড়ে। তবে, ফিফটি করে তবেই মাঠ ছাড়েন চট্টগ্রামের খান সাহেব।

ফিফটি করতে শুধু রান করলেই হয় না, বুদ্ধিও থাকা লাগে। সেই বুদ্ধির পরিচয়টাই দিলেন তামিম ইকবাল। জয়ের জন্য ফরচুন বরিশালের দরকার এক রান। অন্যদিকে, তামিম হাফ সেঞ্চুরি থেকে দুই রান দূরে দাঁড়িয়ে।

সুমন খানের বলে সোজা তুলে মারলেন তামিম, বল বাউন্ডারির দিকে যাচ্ছে। কোনো ফিল্ডারও নেই। মুশফিকুর রহিম রান নিতে দৌঁড় শুরু করেছিলেন, তাঁকে আটকে দিলেন তামিম। কারণ, সিঙ্গেল নিয়ে ফেললে তো আর হাফ সেঞ্চুরি হবে না।

বাউন্ডারি হওয়ায় ফিফটির সাথে সাথে তামিমের স্ট্রাইক রেটও ১০০-এর ওপরে উঠল। আসলে একটু বুদ্ধি না থাকলে এই পৃথিবীতে টিকে থাকা মুশকিল, সেই বুদ্ধির পরিচয় দিলেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক।

তামিমের এই মাইলফলকের আগে অবশ্য মিরপুরে ছোট্ট এক পশলা নাটক হয়ে গেল। সেই ওভারেই একটা সিঙ্গেল নেওয়ার পর ওভার থ্রো থেকে একটা বাড়তি রান নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তামিম-মুশফিক। বল উইকেট রক্ষক হয়ে না আসার পরও বল ডেড হয়ে গেছে বলে দাবি তোলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক আরিফুল হক।

আম্পায়ারও কি বুঝে সেই আবেদনে সারা দিয়ে দেন। তামিম এগিয়ে এসে কথা বললেও তাতে লাভ হয়নি। বল ডেড ঘোষণা করা হয়। তামিমের হাফ সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা একটু বাড়ে। তবে, ফিফটি করে তবেই মাঠ ছাড়েন চট্টগ্রামের খান সাহেব।

স্কোরবোর্ডে বড় কোনো লক্ষ্য নয়। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সাবেকি আমলের টি-টোয়েন্টি খেলাই যায়। সেই কাজটাই করলেন দুই বন্ধু তামিম ও মুশফিক। ১০ ওভার এক সাথে থেকে ৭৯ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন দু’জন। আশার ব্যাপার হল রানে ফিরেছেন মুশফিক। ৩০ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে মুশফিকের ফর্মে ফেরাটা খুবই দরকার ছিল বাংলাদেশ দলের জন্য।

Share via
Copy link