ফিফটি করে কোন উদযাপন করলেন না লোকেশ রাহুল। জমিয়ে রাখলেন। কাজ তো তখনও বাকি। বুনো উল্লাস তিনি ঠিকই করলেন। দলের জয়সূচক ছক্কা হাঁকিয়ে। এ এক অন্য রাহুল। তিনি সব জানেন, তিনি সব বোঝেন। ব্যাটটাও তার বাধ্য সঙ্গীর মত সবকিছু শোনে। তাইতো রাহুলের পদতলে এসে জমা হচ্ছে এক একটি দারুণ জয়।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে দক্ষতা আর অভিজ্ঞতার মিশেলে কি দারুণ এক ইনিংস সাজালেন! দলের জয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ভাবলেশহীন থাকলেন। মাথায় যে তার চলছে বিশাল অংক, সেটা বুঝতে দিলেন না ঘুনাক্ষরেও। দলের বিপদে কাঁধে বড় চাপ, রাহুলের চোখেমুখে নেই কোন ছাপ।
৩০ রান তুলতেই নেই তিন উইকেট। ৫৮ রানের মাথায় নেই চারটা। এমন পরিস্থিতিতে ঘাবড়ে যাবে যে কেউ, কিন্তু রাহুলের উপর দিল্লি ক্যাপিটালসের সমস্ত আস্থা। তিনি পরিস্থিতি পড়তে পারেন, প্রয়োজনে হাল ধরতে জানেন। সেই কাজটাই তিনি করলেন। হাল ধরলেন, নিজের ইনিংস বড় করলেন। সেই সাথে এগিয়ে নিলেন দলের সংগ্রহ।
এমনটি করতে গিয়ে তিনি অবশ্য দলকে ফেলেননি বিপদে। বরং আগ্রাসনের ঝাঁজটা তখনও ব্যাঙ্গালুরু বোলারদের নাকে যন্ত্রণা দিয়ে যাচ্ছিল। পঞ্চম উইকেট জুটিতে প্রোটিয়া ব্যাটার ট্রিস্টন স্টাবসকে সাথে নিয়ে গড়েন ১১১ রানের অপরাজেয় জুটি।
সেই জুটিতে স্টাবসের দ্বিগুণ রান এসেছে রাহুলের ব্যাট থেকে। সব মিলিয়ে ৯৩ রান যুক্ত হয়েছে রাহুলের নামের পাশে। পরিস্থিতির চাহিদা, দলের প্রত্যাশা- সবকিছুই বোঝেন রাহুল। যেন তিনি এক সুদক্ষ যন্ত্র।
কাড়িকাড়ি অর্থ খরচ করে দিল্লি যেন কিনেছে এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। রাহুল যে প্রায় নির্ভুল। আর সেজন্যই তো এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অপরাজিত একমাত্র দল দিল্লি ক্যাপিটালস। তাইতো বলতে হচ্ছে দিল্লির সমস্ত পয়সা উসুল।