উত্তেজনাটা এবার একটু বেশিই বোধহয়

নাহ, অ্যালার্ম দিয়ে রাখার দরকার নেই, ঘুম থেকে উঠে চা জলখাবার নিয়ে টিভির সামনে বসলেই হবে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের প্রথম দিনরাতের টেস্ট বলে উত্তেজনাটা একটু বেশিই বোধহয়।

রাত পোহালেই মহারণ।

নাহ, অ্যালার্ম দিয়ে রাখার দরকার নেই, ঘুম থেকে উঠে চা জলখাবার নিয়ে টিভির সামনে বসলেই হবে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের প্রথম দিনরাতের টেস্ট বলে উত্তেজনাটা একটু বেশিই বোধহয়।

অস্ট্রেলিয়া এমনিতে অ্যাডিলেডে দিন রাতের টেস্ট হারেনি, দারুন রেকর্ড। তাদের বিরুদ্ধে কি দল হতে পারে ভারতের? এই প্রশ্ন অনেকদিন ধরেই চলছে, পরীক্ষার আগের রাতে না হয় আবার উঠুক, ক্ষতি কি?

প্রথম প্রশ্ন ওপেনিংয়ে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের সাথে কে যাবেন? অনেক নাম ঘোরাঘুরি করছে। প্রস্তুতি ম্যাচ যদি কিছু ইঙ্গিত হয় তাহলে পৃথ্বী শ’র থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবেন শুভমান গিল। আবার রাহুল সেই দুই ম্যাচে খেলেননি; তিনিও মায়াঙ্কের সঙ্গী হলে অবাক হওয়ার থাকবে না। আদতে তো তিনি ওপেনারই। তবে মিডল অর্ডারেও ব্যাট করতে পারেন। আর রাহুল যখন দলে আছেন তাঁকে না খেলানোর কোনো মানে হয়না।

আবার রাহুল যদি মিডল অর্ডারে খেলেন এবং ভারত যদি ৭+৪ কম্বিনেশনে খেলে সেক্ষেত্রে প্রস্তুতি ম্যাচে দারুন সেঞ্চুরি করেও বাইরে থাকতে হতে পারে হনুমা বিহারিকে। গিলের বদলে রাহুল ওপেনিংয়ে গেলে বিহারি ৬ নম্বর স্থানে আসতেও পারেন, সেক্ষেত্রে একটা পার্ট টাইম বোলারের অপশন ও বাড়বে ভারতের।

এরপর চলে আসা যাক সেই বহুচর্চিত উইকেটরক্ষকের জায়গা। ঋদ্ধি না ঋষভ এই প্রশ্ন চারদিকে। কিপিংয়ে ঋদ্ধি কয়েক যোজন এগিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ঋষভ পন্তের যতই আগের প্রস্তুতি ম্যাচ কিংবা আগের অস্ট্রেলিয়া সফরে শতরান থাকুক, পিঙ্ক বলে কিপিং টা ঠিকঠাক হওয়াও কিন্তু একটা বিশাল ব্যাপার। আর ঋদ্ধি মোটেই হেলাফেলার ব্যাট নয়। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ঋদ্ধির ব্যাটিংয়ে ভর করেই কিন্তু হার বাঁচিয়েছিল ভারত। ঋদ্ধিকেই কিছুটা এগিয়ে রাখা যাক।

এরপর স্পিনারের প্রসঙ্গে আসলে জাদেজার চোট থাকায় অশ্বিনই হয়ত খেলবেন। শেন ওয়ার্নের মতো কেউ কেউ যদিও কুলদীপকে দলে দেখতে চান; সেটা হয়ত হবে না। আর তিন পেসার হিসেবে শামি, বুমরাহর সাথে উমেশ যাদব সঙ্গী হতে পারেন হয়ত, তবে হাতে সুইং থাকায় সিরাজকে প্রথম একাদশে দেখলেও অবাক হবেননা।

এবার অস্ট্রেলিয়ার প্রসঙ্গে আসা যাক। ওয়ার্নার না থাকায় অজিদের ওপেনিং টা কিন্তু দুর্বল হতে বাধ্য। ওপেনিংয়ে জো বার্নস খুব সম্ভবত খেলবেনই। তাঁর সঙ্গী হিসেবে মার্কাস হ্যারিসের ওপর আস্থা রাখবেন না মনে ল্যাঙ্গাররা। হ্যারিস গতবারেও ভারত সিরিজে ভালো খেলেননি। পেইনের কথা যদি ইঙ্গিত হয় তাহলে জো বার্নস এর সঙ্গী হতে চলেছেন ম্যাথিউ ওয়েড। মিডল অর্ডারে স্মিথ, লাবুশেনের আর ট্রাভিস হেড থাকছেনই; কোনো সংশয় নেই। স্মিথ চোট সামান্য পেলেও সেরে উঠবেন আশা করা যায়।

৬ নম্বর জায়গায় ক্যামেরন গ্রিনের অভিষেক ও হচ্ছেই ধরে নেওয়া যায়। প্রস্তুতি ম্যাচে শতরান করেছেন। তার সাথে নিয়মিত ১৩৫-১৪০ কিমি গতিবেগে বোলিং করতে পারেন। ভবিষ্যতে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাসেট হতে চলেছেন এই গ্রিন। ৭ নম্বরে অধিনায়ক পেইন আর বোলিং ব্রিগেডে স্টার্ক, কামিন্স, হ্যাজেলউড আর নাথান লায়নের থাকা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। স্টার্কের পিঙ্ক বল টেস্টে রেকর্ডটা কিন্তু মারাত্মক,৬ টেস্টে ১৯ গড়ে ৪২ উইকেট! কোহলিরা তৈরী তো?

চোখ থাকুক কাল সকালে অ্যাডিলেড ওভালে।

  • সম্ভাব্য একাদশ

ভারত: মায়াঙ্ক, রাহুল, পুজারা, কোহলি, রাহানে, হনুমা, ঋদ্ধিমান, অশ্বিন, শামি, উমেশ, বুমরাহ।

অস্ট্রেলিয়া: বার্নস, ওয়েড, স্মিথ, লাবুশানে, হেড, গ্রিন, পেইন, কামিন্স, স্টার্ক, লায়ন, হ্যাজেলউড।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...