‘আইসিসি যেভাবেই হোক ভারতকে সেমিতে পৌঁছাবে’

সবচেয়ে বেশি জল ঘোলা হয় বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে ওঠা ফেক ফিল্ডিং নিয়ে। অবশ্য কেবল অভিযোগ বললে ভুল হবে ম্যাচের একটি ভিডিও ক্লিপ অভিযোগটির সত্যতা প্রমাণ করে। যদিও, বাংলাদেশের অভিযোগ আমলে নেননি আম্পায়াররা। আফ্রিদির বিবেচনায় এখানে আম্পায়ারদের পক্ষপাতমূলক আচরণ স্পষ্ট।

আইসিসি ইভেন্ট আসলেই যেন বাংলাদেশ-ভারত লড়াইয়ে  বাড়তি উত্তেজনা ছড়ায়। এবার চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাই হল। তবে, এবার ম্যাচের আগের চেয়ে ম্যাচের পরেই বেশি বিতর্ক ছড়াচ্ছে যেন। আর সেই বিতর্কের নেপথ্যে আছে আম্পায়ারদের নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত।

ভেজা মাঠে খেলতে নামিয়ে দেওয়া কিংবা বিরাট কোহলির ফেক ফিল্ডিং – নানা ইস্যুতে সরগরম ক্রিকেট বিশ্ব। বাংলাদেশি সমর্থকরা কাঠগড়ায় তুলেছেন আম্পায়ারদের। এবার সেই মিছিলে শামিল হলেন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি। তিনিও মনে করেন, ভারতকে সেমিফাইনালে তুলে দিতে আম্পায়াররা পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের মত এবারও আম্পায়ারকে হাত দিয়ে ‘নো-বল’-এর ইশারা করেন কোহলি। এই ঘটনার পর বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মাঠেই বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। বিরাট কোহলি যেন খেলোয়াড় নন, বরং আম্পায়ারের ভূমিকায় মাঠে নেমেছিলেন। তবে, সেই ঘটনা খুব বাজে দিকে মোড় নেয়নি।

তবে, সবচেয়ে বেশি জল ঘোলা হয় বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে ওঠা ফেক ফিল্ডিং নিয়ে। অবশ্য কেবল অভিযোগ বললে ভুল হবে ম্যাচের একটি ভিডিও ক্লিপ অভিযোগটির সত্যতা প্রমাণ করে। যদিও বাংলাদেশের অভিযোগ আমলে নেননি আম্পায়াররা। আফ্রিদির বিবেচনায় এখানে আম্পায়ারদের পক্ষপাতমূলক আচরণ স্পষ্ট।

ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচের পরে পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলে খোলাখুলি কথা বলেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি। ম্যাচ প্রসঙ্গে সাবেক এই পাকিস্তানি অধিনায়ক বলেন, ‘সাকিব আল হাসানও একই কথা বলেছেন এবং স্ক্রিনেও দেখা গিয়েছে মাঠটি কতটা ভেজা ছিল। কিন্তু আমার ধারণা, আইসিসি কিছুটা ভারতের পক্ষপাতিত্ব করছে। তাঁরা নিশ্চিত করতে চায় যে, যেভাবেই হোক ভারতকে সেমিতে পৌঁছাবে। এমনকি ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচেও মাঠে আম্পায়াররাও একই দলভুক্ত ছিলেন। পুরো বিশ্ব জানে তাঁরা সেরা আম্পায়ারের পুরস্কার পাবে।’

পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশি ব্যাটার লিটন দাসের ইনিংসটির দারুণ প্রসংশা করেছেন। আফ্রিদি ম্যাচটি নিয়ে আরও বলেন, ‘আমি জানি কি হয়েছে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তা স্বত্বেও বিরতির পরপরই খেলা আবার শুরু হয়। এটা খুব স্পষ্ট যে, ভারতের খেলার সাথে আইসিসির এবং তার সাথে অনেকগুলো ব্যাপার জড়িত। কিন্তু লিটনের ব্যাটিং আশ্চর্যজনক ছিল। সে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছে। ছয় ওভারের পরে, আমার মনে হয়েছে যে বাংলাদেশ যদি আরও ২-৩ ওভারের জন্য উইকেট না হারাতো, তবে তাঁরা ম্যাচটি জিতে যেত। সামগ্রিকভাবে, বাংলাদেশ যে লড়াইটি দেখিয়েছে তা দুর্দান্ত ছিল।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...