দীর্ঘমেয়াদের স্পন্সর খুজছে বিসিবি

আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্তর্বর্তীকালীন স্পনসর হয়েছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি। কিন্তু, বিসিবির সাথে এই এক সিরিজের জন্যই চুক্তি করেছে ইভ্যালি। যার কারণে শ্রীলঙ্কা সিরিজে আবারো স্পনসর খুঁজতে হবে বিসিবিকে। কিন্তু, বিসিবি আর সিরিজ ধরে স্পনসরশিপ দিতে আগ্রহী নয়।

করোনা মহামারির কারণে বিশ্বজুড়েই বানিজ্যে ভাটা। এই সময়ে দীর্ঘ মেয়াদের পৃষ্ঠপোষকও পাচ্ছিলো না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও দীর্ঘ মেয়াদের স্পন্সর খুজতে শুরু করেছে এবার বিসিবি।

করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছরের মার্চ থেকেই থমকে গিয়েছিলো বিশ্বের ক্রিকেটাঙ্গন। যার প্রভাব পড়েছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেটেও। দীর্ঘ বিরতির পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেও এখনো পুরোপুরি সমাধান হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্পোরেট কার্যক্রম।

আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্তর্বর্তীকালীন স্পনসর হয়েছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি। কিন্তু, বিসিবির সাথে এই এক সিরিজের জন্যই চুক্তি করেছে ইভ্যালি। যার কারণে শ্রীলঙ্কা সিরিজে আবারো স্পনসর খুঁজতে হবে বিসিবিকে। কিন্তু, বিসিবি আর সিরিজ ধরে স্পনসরশিপ দিতে আগ্রহী নয়।

যার কারণে আজ দীর্ঘমেয়াদী স্পনসরের জন্য স্পনসরশিপ আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিসিবি। আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত স্পনসর প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করবে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এসময় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সব ম্যাচও চুক্তির অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী ২০২৩ সালের নভেম্বরের আগে একটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ, দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং দুটি এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

শুধু সাকিব-তামিমদের জন্যই দীর্ঘমেয়াদী স্পনসর খুঁজছে না বিসিবি। বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাথে এই চুক্তির অন্তর্ভুক্ত থাকবে মেয়েদের এবং ছেলেদের হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিট এবং পুরুষ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ও নারী অনূর্ধ্ব-১৯ দলও।

এর আগে বিসিবির দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি ছিলো ইউনিলিভারের সাথে। ইউনিলিভারের সাথে বিসিবির চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে গত বছরের জানুয়ারিতে। চুক্তি শেষ হওয়ার পর আর নতুন করে চুক্তি করতে আগ্রহী হয়নি ইউনিলিভার। এরপরই ৫০ কোটি টাকা মূল্যের টিম স্পনসরশিপ আহ্বান করে বিসিবি। কিন্তু, বিসিবির আহ্বানে সাড়া দেয়নি কোন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান।

গত বছরের মার্চে জিম্বাবুয়ে সিরিজে স্পনসর হিসাবে ছিলো বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকাধীন ডিটিএইচ আকাশ। এরপর করোনার কারণে স্থগিত হয়ে যায় বাংলাদেশের সব আন্তর্জাতিক সিরিজ। প্রায় এক বছর পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরে বাংলাদেশ। ঐ সিরিজে বাংলাদেশ দলের বিশেষ জার্সিতে স্পনসর ছিলো বেক্সিমকো।

দীর্ঘমেয়াদী টিম স্পনসরের সাথে টাইটেল স্পনসর, গ্রাউন্ড স্পনসর ও টিভি-সত্ত্ব থেকে থেকে বড় ধরণের মুনাফা পেয়ে থাকে বোর্ড। কিন্তু দীর্ঘ দিন হলো স্থায়ী স্পনসর না থাকাতে প্রতি সিরিজেই অন্তর্বর্তীকালীন স্পনসর নিয়ে বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বিসিবি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...