দ্য ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটস

যুব বিশ্বাকাপের তারা বড়দের দলে এসে হয় খসে পড়ে না হয় আপেক্ষিক এক অন্ততকাল পেরিয়ে তবে জায়গা মেলে জাতীয় দলে। তবে ব্যতিক্রম যে নেই তাও নয়। খুব দ্রুতই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের ছাপ ফেলে দেওয়া খেলোয়াড়দের উদাহরণ ক্রিকেটে রয়েছে। এই বছর দুই আগে যুববিশ্বকাপ খেলা বেশকিছু তরুণ বর্তমান সময়ে তাঁদের নিজ নিজ জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন খুবই দ্রুত সময়ে।

যুব বিশ্বাকাপের তারা বড়দের দলে এসে হয় খসে পড়ে না হয় আপেক্ষিক এক অন্ততকাল পেরিয়ে তবে জায়গা মেলে জাতীয় দলে। তবে ব্যতিক্রম যে নেই তাও নয়। খুব দ্রুতই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের ছাপ ফেলে দেওয়া খেলোয়াড়দের উদাহরণ ক্রিকেটে রয়েছে। এই বছর দুই আগে যুববিশ্বকাপ খেলা বেশকিছু তরুণ বর্তমান সময়ে তাঁদের নিজ নিজ জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন খুবই দ্রুত সময়ে।

২০২০ সালে বাংলাদেশ যুবারা প্রথমবার শিরোপা তুলেছিলো নিজেদের ঘরে। সেই দলে বেশকিছু ক্রিকেটার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন সাম্প্রতিক সময়ে। ২০২০ যুব বিশ্বকাপ খেলা সেই সকল খেলোয়াড়দের নিয়েই রয়েছে আজকের আলোচনা।

  • অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশের গত আসর মাতিয়েছেন ২০২০ এর যুব আসর থেকে উঠে আসা লেগ স্পিনার তানভির সাঙ্ঘা। বিগ ব্যাশ দল সিডনি থান্ডার ও ঘরোয়া ক্রিকেটের দল নিউ সাউথ ওয়েলসেরও নিয়মিত এবং গুরুত্বপূর্ণ এক সদস্যে পরিণিত হয়েছেন তিনি।

মূলত ২০২০/২১ বিগ ব্যাশ মৌসুমে তিনি ছিলেন সর্বাধিক উইকেট শিকারি। যুব দল এবং পরবর্তী সময়ে বিগ ব্যাশের দূর্দান্ত পারফরমেন্সের বদৌলতে জাতীয় দলের নির্বাচকদের নজরে এসেছেন তানভির এবং বেশকিছু টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে ছিলেন ২০২০ যুব বিশ্বকাপ খেলা তানভির সাঙঘা।

  • বাংলাদেশ

২০২০ সালে প্রথম কোন বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছিলো অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারদের হাত ধরে। সেই দলে থাকা অধিকাংশ খেলোয়াড়ই ছিলেন দারুণ সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়। তাঁদের মধ্যে থেকে ইতোমধ্যে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন পাঁচজন। তবে জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ধারাবাহিক বা-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম।

তিন ফরম্যাটেই অভিষেক হয়েছে তাঁর। নিয়মিত পারফরমও করছেন তরুণ এই ক্রিকেটার। অন্যদিকে আরেক বা-হাতি ব্যাটার শামীম হোসেন পাটোয়ারিও খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে। মূলত টি-টোয়েন্টি দলে ফিনিশারের অভাব ঘোচাতে তাঁকে দলে নেওয়া হয়েছিলো। তবে তিনি ব্যর্থতার ষোলকলা পূরণ করে তিনি এখন রয়েছেন দলের বাইরে।

তাঁদের ব্যাচের আরো একজন খেলার সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলে। মাহমুদুল হাসান জয় নিউজিল্যান্ডের মতো বৈরি কন্ডিশনের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকে সামর্থ্যের প্রমাণ রেখে জায়গা করে নিয়েছেন ওয়ানডে দলেও। তবে টেস্ট বাদে কোন ফরম্যাটে এখনও জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পাননি জয়।

  • ভারত 

২০২০ সালে বাংলাদেশের কাছে হেরে শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারেনি ভারতের যুবারা। তবে সেই টুর্নামেন্টে ভারতের হয়ে পারফরম করা একজন খেলোয়াড় ইতোমধ্যে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়ে ফেলেছেন। সেই আসরের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক রবি বিষ্ণয় ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন।

সেই ম্যাচগুলোতে তাঁর নামের পাশে উইকেটের ট্যালি শূন্য নেই। সম্ভাবনাময় এই লেগ স্পিনারকে এখন থেকেই ভাবা হচ্ছে ভারতে পরবর্তী প্রজন্মের বোলিং আক্রমণের অন্যতম এক অস্ত্র। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে পারফরম করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রেখে যাচ্ছেন বিষ্ণয়।

  • পাকিস্তান

২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করার পরপরই পাকিস্তান সুপার লিগে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে হাফ সেঞ্চুরি করে সবার নজর কাড়েন হায়দার আলী। এরপর তাঁর জাতীয় দলে ডাক পাওয়া যেন সময়ের অপেক্ষা ছিলো। পেয়েও গেলেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই আবারও অর্ধশতক। এরপর ওয়ানডেতেও অভিষেক হয় হায়দার আলীর।

তারই সতীর্থ ওয়াসিম খানও চলে এসেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়েছে তাঁর। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তিনি ওয়াসিম খান। তিনি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পাকিস্তানের পরবর্তী প্রজন্মের একজন দ্বিধাহীনভাবেই বলা যায়।

  • ওয়েস্ট ইন্ডিজ 

নিজের জাতীয় দলের ক্যারিয়ারের প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নিয়ে সম্ভাবনার আলো ছড়িয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুব দলের খেলোয়াড় জায়ডেন সিলস। ২০২০ যুব বিশ্বকাপে ক্যারিবিয়ানদের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন ডান-হাতি পেস বোলার জায়ডেন। ২০২১ সালের জুনে তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়।

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে তিনি তিন উইকেট পেলেও পরবর্তী সিরিজে নিজের জাত চিনিয়েছেন ২০ বছর বয়সী তরুণ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি সেই ম্যাচে আট উইকেট নিয়েছিলেন সিলস।

  • জিম্বাবুয়ে 

২০২০ সালের বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়েকে নেতৃত্ব দেওয়া ডিওন মেয়ার্স ও তাঁর ডেপুটি ওয়েসলি মাধেভেরে বর্তমানে জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ। মাধেভেরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সাদা বলের ক্রিকেটে। ইতোমধ্যে বেশকিছু হাফ-সেঞ্চুরি করে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রেখেছেন। তাছাড়া মায়ার্সের অভিষেক হয়েছে তিন ফরম্যাটেই।

মেয়ার্স ও মাধেভেরের আরো দুই যুব বিশ্বকাপ দলের সতীর্থ এসেছেন জাতীয় দলে। তাঁদের মধ্যে তাদিওয়ানশে মারুমানি খেলেছেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। অন্যদিকে ব্যাটিং অলরাউন্ডার মিলটন শুম্বা ফিনিশার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টাটা চালাচ্ছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...