আইপিএলে অনিশ্চিত কোহলি-রোহিতরা?

এমন ব্যস্ত সূচীতে প্রায় ২ মাসের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) বাড়তি সংযোজন ভারতের ক্রিকেটারদের জন্য। ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জনও শুরু হয়েছিল এ বছরের শেষে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের আইপিএলে বিশ্রামে রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিসিসিআই।

এমনিতেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচী থাকে সারা বছর ধরে। যদিও গত কয়েক বছর ধরে রোটেশন পলিসিতে গেছে বোর্ড অব ক্রিকেট কন্ট্রোল ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। প্রায় প্রতিটা সিরিজেই খেলোয়াড় অদল বদল করে খেলাচ্ছেন ভারতের নির্বাচকরা।

এমন ব্যস্ত সূচীতে প্রায় ২ মাসের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) বাড়তি সংযোজন ভারতের ক্রিকেটারদের জন্য। ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জনও শুরু হয়েছিল এ বছরের শেষে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের আইপিএলে বিশ্রামে রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিসিসিআই।

সম্প্রতি বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সম্ভাব্য খেলোয়াড়দের ওয়ার্কলোডের বিষয়টি আইপিএলের সময় নজরে রাখা হবে। সেই কাজে বোর্ড সমন্বয় করবে ভারতের ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি (এনসিএ)।

এ প্রসঙ্গে ভারতের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেন, ‘আইপিএলের সময় ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমি এবং আমাদের চিকিৎসকরা ফ্রাঞ্চাইজি গুলোর সাথে যোগাযোগ রাখবে। কোনো ক্রিকেটারের চোট বা অন্য কোনো সমস্যা আছে কিনা সে ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজ রাখবেন তারা। যদি তেমন কোনো সমস্যা হয় তাহলে কোনো ক্রিকেটের আইপিএল খেলতে না দেবার অধিকার বোর্ডের রয়েছে।’

দ্রাবিড় চিন্তিত এই ব্যস্ত ক্রিকেট সূচী নিয়ে তবে চোট সমস্যা না থাকলে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ বা টুর্নামেন্টে খেলোয়াড় অবশ্যই খেলাতে চান তিনি। আইপিএলও আছে সেই তালিকায়।

তিনি বলেন, ‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট এখনকার ক্রিকেটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা নিয়ে আমাদের ভাবনাচিন্তা সর্বক্ষণ চলছে। আপনারা হয়তো বলবেন টি-টোয়েন্টি সিরিজ যাদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে (রোহিত, কোহলি, কেএল রাহুল) সেটাকেই ওয়ার্কলোড নিয়ন্ত্রণ বলে। কিন্তু চোট নিয়ন্ত্রণ আর ওয়ার্কলোড নিয়ন্ত্রণ দুটো আলাদা বিষয়।’

দ্রাবিড় আরো বলেন, ‘দুটো জিনিসের মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখা দরকার। যে পরিমাণ ক্রিকেট আমরা খেলি, তাতে কোনটা অগ্রাধিকার পাবে সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। বড় প্রতিযোগিতায় বড় ক্রিকেটাররা যাতে খেলতে পারে সেটাও মাথায় রাখতে হবে।’

গুঞ্জন থাকলেও খেলোয়াড়দের আইপিএলে খেলানোর পক্ষে দ্রাবিড়, ‘আইপিএলও একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা। তাই ফিট থাকলে ক্রিকেটারদের সেখানে খেলতে দেওয়া যেতেই পারে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে আইপিএল বোর্ডের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট এক জন ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কেমন খেলছে, সেটা জানার জন্য তাঁকে আইপিএলে খেলতে দেওয়া দরকার।’

যদিও শ্রীলংকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে শীর্ষ ক্রিকেটারদের বিশ্রামে রেখেছিল ভারত কিন্তু সামনের গুরুত্বপূর্ণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে পূর্ণ ফিট কোহলিদের পেতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানান ভারতের হেড কোচ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...