রূপকথার যাত্রা শেষে গুজরাটের শিরোপা

আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান; আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক - বাটলারের ব্যাটেই শেষবারের মতন আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিল দল। কিন্তু ফাইনালে তিনি ব্যর্থ; দেখা মিলল না ঝড়ো ইনিংসের। বাটলারের জ্বলে উঠতে না পারা কিংবা বাটলারসুলভ ইনিংস খেলতে না পারায় ফাইনালে ব্যাকফুটে ছিল রাজস্থান। ৩৫ বলে ৩৯ রানের বিপরীত গতির ইনিংসে বাটলার ফিরলে আর কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি।

পঞ্চদশ আসর, এখন অবধি সবচেয়ে লম্বা আসর। জম্পেশ এক আয়োজন, একপেশে লড়াই। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসরের ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের প্রথম আসরেই শিরোপা জয় করলো গুজরাট টাইটান্স।

চোখ ধাঁধাঁনো অনুষ্ঠান আর গুজরাটের দাপুটে লড়াইয়ে পর্দা নামলো আইপিএলের পঞ্চদশ আসরের। আর ফাইনালের সেই জয়টাও আসলো অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার ভেলায় ভেসে।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে গুজরাটের বোলারদের দাপটে দ্রুত রান তুলতে হিমসিম খায় রাজস্থানের ব্যাটাররা। ওপেনিং জুটিতে আসে ৩১ রান। কিন্তু এরপরই ছন্দপতন; ১৬ বলে ২২ রানে যশস্বী জ্যাসওয়াল ফিরলে শম্বুক গতিতে এগোতে থাকে রানের চাকা।

এরপর গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার দুর্দান্ত এক স্পেলে মুখ থুবড়ে পড়ে রাজস্থানের ব্যাটিং শিবির। সাঞ্জু স্যামসন, দেবদূত পাদ্দিকালরা ফিরেন দ্রুতই।

আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান; আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক – বাটলারের ব্যাটেই শেষবারের মতন আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিল দল। কিন্তু ফাইনালে তিনি ব্যর্থ; দেখা মিলল না ঝড়ো ইনিংসের। বাটলারের জ্বলে উঠতে না পারা কিংবা বাটলারসুলভ ইনিংস খেলতে না পারায় ফাইনালে ব্যাকফুটে ছিল রাজস্থান। ৩৫ বলে ৩৯ রানের বিপরীত গতির ইনিংসে বাটলার ফিরলে আর কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৩০ রান করতে সক্ষম হয় রাজস্থান রয়্যালস। হার্দিক পান্ডিয়া একাই শিকার করেন ৩ উইকেট – সাঞ্জু স্যামসন, জশ বাটলার ও শিমরন হেটমেয়ারকে ফেরান তিনি। তিনটি উইকেটরই যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ – তা না বললেও চলে।

সহজ লক্ষ্যমাত্রা, শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ – গুজরাটের জন্য প্রথম আসরে শিরোপা জয়ের হাতছানি। সেই সহজ কাজটাই শুরুতে গুজরাটের জন্য কঠিন করে ফেলেন ট্রেন্ট বোল্ট, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণারা। দলীয় ৯ রানেই ঋদ্ধিমানা সাহা আউট। এরপর কিছুদূর না যেতেই ব্যর্থতার তালিকা দীর্ঘ করে আউট ম্যাথু ওয়েডও। ২৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে তখন চাপের মুখে গুজরাট।

এরপর বাকি পথটা সহজ করে নেন হার্দিক পান্ডিয়া ও শুভমান গিল। শূন্য রানে জীবন পাওয়া গিল ম্যাচটা জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। মাঝে হার্দিক খেলেন ৩৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস। তৃতীয় উইকেটে দু’জনের ৫৪ বলে ৬৩ রানের অসাধারণ জুটিটা ম্যাচে জয়ের ভীত গড়ে দেয় গুজরাটকে।

এরপর মিলারের ঝড়ো ফিনিশিংয়ে ১১ বল বাকি থাকতে নিজেদের প্রথম আসরে খেলতে এসেই ৭ উইকেটের দাপুটে জয়ে শিরোপা নিজেদের করলো গুজরাট টাইটান্স। শিরোপা হাতে নিয়েই অনবদ্য এক যাত্রার ইতি টানল হার্দিক পান্ডিয়ার দল।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

রাজস্থান রয়্যালস – ১৩০/৯ (২০ ওভার); বাটলার ৩৯(৩৫), জ্যাসওয়াল ২২(১৬), পরাজ ১৫(১৫); হার্দিক ৩-০-১৭-৩, সাই কিশোর ২-০-২০-২, রশিদ ৪-০-১৮-১।

গুজরাট টাইটান্স – ১৩৩/৩ (১৮.১ ওভার); গিল ৪৫(৪৩)*, মিলার ৩২(১৯)*, হার্দিক ৩৪(৩০); বোল্ট ৪-০-১৪-১, চাহাল ৪-০-২০-১।

ফলাফল: গুজরাট টাইটান্স ৭ উইকেটে জয়ী।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...